নতুন বিপ্লব
আমার শান্ত থাকা ক্লান্ত মন, কভুও অতৃপ্ত নয়;
তীর্যক ঐ মুখের ভাষায় করো ব্যঙ্গাত্মক ধিক্কারে হতে চায় ক্ষয়।
হে বন্ধু, তোমায় ভাবি সারাবেলা আপন,
আড়ালে কেনো চলে ঐ কূট খেলায় তোমার দিন যাপন।
হিংসা বিষাদ কষ্ট ভুলে করো আলিঙ্গন,
দাও ক্ষমা তোমায় আমায় মুছে আস্ফালন।
চলো গড়ার খেলায় মেতে উঠি ভাঙবো কতো আর,
বিপ্লবী এখন যুদ্ধ ভুলে শান্তি গড়ার করছে অঙ্গীকার।
মিছামিছি আর কাউকে শপথ করাই না,
অতি বিপ্লবীর ক্ষোভ বাতাসে ছড়াই না।
কর্ম প্রেমে ধর্ম মেনে নিজ মনে বাঁধি অঙ্গীকার,
এ যেনো হয় নতুন ধারার বিপ্লবী আবিষ্কার।
আজ যদিও ঘর ছাড়া আমি তবুও কোনো গুহায় থাকি না,
এই শতকের হারানোর প্রেমিক ভুলেও হারায় না।
প্রযুক্তির এই আন্দোলনে সবাই সবাইকে চেনে,
নিপাত নিপাতের পুরনো খেলা কে নেবে আজ মেনে।
ধারণ করো বন্ধু সেই ধরন যা তোমায় আমায় করবে বরণ,
অতীতের সেই দ্বন্দ্বকে আর কোরো না স্মরণ।
পুরনো ধাঁচের এই লড়াইয়ে শুধু মরীচিকা,
ঘুরে দেখো সংগ্রামীরা আর দেয়ালে মারে না চিকা।
ভুলে যাও সব দ্বিধা দ্বন্দ্বের ইতিহাস,
যতই করুক সবাই তোমায় পরিহাস।
নতুন বিপ্লবের রংতুলি দিয়ে ভোলাও অবিশ্বাস,
নির্মল মুক্ত বাতাসে নাও বুকভরা শান্তির নিঃশ্বাস।
নৈরাজ্যের ভূমি
কাতারে কাতারে দাঁড়িয়ে অকাতরে
কাঁদছো তুমি ভেতরে ভেতরে;
বিনা ক্রোধে তুমি হয়েছো পাষাণী
তোমায় বুঝতে কারো হতে হবে না সেই ভাসানী।
মজলুমের ঘামের গন্ধে আমি সুগন্ধি খুঁজি
সকল জুলুম রোধেই আমিই বিপ্লব বুঝি।
তবুও বারেবারে রক্তমাখা পায়জামার ভয়ে
বুলি আওড়ানো তিক্ত কথা সয়ে
গড়বো এক নতুন সংগ্রাম
এক হবে একদা কৃষাণী সব- চারিধারে গর্জে উঠে হবে রব
বিষবাষ্পে জ্বলে উঠবে সারাগ্রাম।
হোক শত সহ¯্র দুর্নাম- এই সংসারে আমি কারো করি না প্রণাম
ওগো প্রাণের বধূ- আলিঙ্গন ছেড়ে তোমায় বিদায় দিলাম।
একাকিত্বের সাহস অনেক- রক্তাক্ত হৃদয়ে ঠেকছে বিদ্রোহের পেরেক
যতই বাঁধি নিজেরে এই সংসারে- জন্ম দেয়া সন্তানের বন্ধনে
ততই হারাই এই সাহস- আবেগের লুণ্ঠনে।
বিবেক বলে বারেবারে- ঘরে থাকো নিত্য মায়ার বাঁধনে,
স্বার্থপরের নির্মম শখ শুধু স্বপ্ন বরণে।
চেয়ে দেখো আজি ফিরে চারিদিক- অভাগারা কতনা দিগি¦দিক,
ভ- সংগ্রামীরাই সব বসন্তে কাঁপায় চারিদিক।
ধিক্ তাদের ধিক্,
বিবেক বর্জন করে- আবেগের বুকে লাথি মেরে
জ্বলে ওঠো ক্রোধ তুমি
জয় করো নৈরাজ্যের ভূমি।
বন্দীশালা হোক পাঠশালা
ঐ বন্দীশালা যখন হবে পাঠশালা
তখন যতই পরাও শেকলের মালা
উষ্ণতায় পরিতৃপ্ত হবে ততই বিদ্রোহের জ্বালা
শুরু হবে চারিদিক স্বেচ্ছায় কারাবরণের পালা।
মিছিলে মিছিলে মুখরিত রাজপথ, নিয়েছে আজ শপথ
বিপ্লবীর এই হুংকারে শোষকের নেই অন্যকোনো পথ।
পালাবার সময় পালিয়েছে কাল,
কী হবে আগামীকাল?
না জানি আমি- জানো না তুমি
তবে অত্যাচারীর জন্য নয় আর এ ভূমি।
মহাপ্রলয়ের এই হুংকারে আজ- ভেঙেছে তোদের রাজ
সব মুছে যাবে রং বেরংয়ের সাজ,
দেখো বন্দীশালার ঐ পাঠশালা থেকে আজ
বেরিয়েছে ভাবনার যুবরাজ।
সম্বলহীন নেতার অযথা রাজনীতি
হে প্রভুত্ব! তোমারে ¯্রষ্টা সব দেয়, তোমার বৈভব দেখে,
বিত্তের সকল গাম্ভীর্য আজ মর্যাদায় রয়েছে মেখে;
ভুখা হয়ে বুভুক্ষের প্রতিনিধিত্ব অশালীন
ধনবানের কাছে তোমার নেতৃত্ব তাই পুরোটাই মলিন,
এখন আসন বেচাকেনা হয় সম্পদের কালো বিড়াল পুষে,
চোরাকারবারি হও কিংবা লুটেরা- কার কী যায় আসে।
কারণ ঐ আসন এনে দেবে সুযোগ, জনগণে শাসন
শাসক হলেই তো সুযোগ পাবে করতে শোষণ,
ন্যায়ের কথা মুখে জপে সারাদিন চালাবে ভাষণ,
তাইতো পাগল সবাই- পেতে এই মর্যাদার আসন।
লোভী ভিক্ষুকরা প্রাণপণে চায় বলেই- ভাগ্যেও তাই পায়,
চপ্পল পায়ে পোড় খাওয়া নেতা সমাজকর্মের নেশায়
অনাহারে-অর্ধাহারে জনপথে হেঁটে বেড়ায়।
তার ডাকে সাড়া দেয় না কেউ,
কী এক আজব জনতার ঢেউ।
সম্বলহীন নেতার জীবনটাই আজ বৃথা,
রাজনীতির এই ভুল চক্করে হাঁটছে অযথা।
দেশান্তরী আমার দেহ
মৃত্যু যেখানে নিশ্চিত- যেখানে লাশের মিছিল ভাগ্যের
স্বপ্নহীন মানুষের বেঁচে থাকাও বড় দুর্ভাগ্যের।
দেশান্তরী আমার দেহ- কিন্তু পুরো মন নিজ দেশে,
চাপা কষ্ট বুকে নিয়ে ঘুরি গোটা বিশ্ব হেসে হেসে।
তবে আমি এক স্বপ্নবান কাপুরুষ, জানে অন্তর্যামী
প্রাণের ভয়ে হিংসার কালো ছায়া ছেড়ে হতে চাই উর্ধ্বগামী
আমার জানা নেই মৃত্যুর পর কিসের জ্বালা,
শ্বাস নেয় যতক্ষণ বিশ্বাস থাকে ততক্ষণ, মনের সব খোলা জানালা।
লাশ দিয়ে সবার কপালে বিপ্লব জোটে না
বরং গন্ধ ছড়ায় ঐ শ্মশান ঘাটে, ব্যর্থ জীবনের সাধ আর মেটে না
নিজের ঘরের যুদ্ধে ছেড়েছি সংসার,
গোলাভরা ধানের ভুবন ছেড়ে এসে
এখানে জোটে না দু’বেলা আহার।
কেনো এই অভিমান আর নিজেকে নিজের অপমান
অসময়ে বিনা অপরাধে সব হারিয়েছি সম্মান।
পথহারা শিশু
বাবার বিত্ত আর মায়ের চিত্ত,
নষ্ট করেছে মোদের পিত্ত;
নীতির বুলি আওড়িয়ে বাবা করে দুর্নীতি
আর সতীর রূপ ধারণ করে মা করে গোপন পিরিতি।
মা-বাবার এই ধূম্র জালের নষ্ট খেলায়,
সকল কর্মের শেষ বেলায়-
অধম শিশুর মন নিষ্পাপ হৃদয়ে তাল মেলায়।
রাতের আকাশে দেখো কতো না তারা
আইনের ফাঁকে ঝুলছে হাজারো ধারা
নষ্ট ঐ ঘরে আলো জ্বালাতে
ভুলেও দেয় না কেউ মায়াবী সাড়া
তাই আমি শিশু কখনো পথহারা।
সব ভুলে পরাবো আগামী শিশুদের গলায় মালা
গড়বো মোরা শুভ্র আদর্শের বাঙ্গালীর পাঠশালা।
ছেঁড়া ফেস্টুন
যে রং দিয়ে এঁকেছো জীবন কথা
সে রং আর থাকবে না- কিংবা লাগবেও হয়তো না
বর্ণিল শোভাযাত্রায় আজ ঝুলছে তোমার কতশত রকমারি কার্টুন,
তামাশার এই উল্লাস শেষে ভূলুণ্ঠিত- এক টুকরো ছেঁড়া ফেস্টুন।
জীবনের রং যদি ঐ বর্ণিল ব্যানারে ব্যানারে শোভা পায়,
রাত পোহালেই রঙিন ব্যানারের রংটাও ফিকে হয়ে যায়।
মেতে ওঠো শুধু উল্লাসে আর মিথ্যা নাম ডাকের উৎসবে
হাঁকডাকের বাজার বসিয়ে বুড়ো বয়সেও চলে যাও শৈশবে।
রাজনীতির এই কাঁচা বালকী খেলায়
অযথাই যাচ্ছে সময় হেলায় ফেলায়।
মিছিলের শব্দ
এক দুই তিন চার
পাঁচ ছয় তারপর কেনো নয় আর?
কবে খুলবে সততার রুদ্ধ দ্বার?
শোষকের মহল ভেঙে সব কারা ছারখার।
আবার উঠবো আমি জেগে,
গড়বো শ্মশান সকল ত্যাগে
ভয় পেয়ো না বন্ধু ঐ বজ্র মেঘে
মিছিলের শব্দে যেনো কভু আর ঘুম না ভাঙে।
ধনীর ভোগ আর গরীবের রোগ
বিদ্যাহীন বুদ্ধিতে শক্ত ভীত আঁকিতে,
শক্তির অন্বেষণে,
ক্ষমতার দাপটে যেনো পা পড়ে না মাটিতে।
ওরা সমাজপতি- কখনো বা রাষ্ট্রেরও স্থপতি,
দোষ নেই তাতে-
তবুও শোকে কাতর হয়ে থাকে জ্ঞানী মহামতি।
আবারও সেই খেলাঘরে নানান মতের মেলা
জিতবে সেই রাজা যার চারিদিকে হাজারো চেলা।
হে ভগবান! খোদাও তুমি- ঈশ্বরও তুমি
কেনো দিয়েছো আমায় এই পাপের ভূমি।
হাল চষতে চষতে আমিও ক্লান্ত আমার জমি,
এমনই দয়ার সাগর তোমার, তাই ফেরাউনেরই হয় মমি।
বেশি ধন, বেশি জীবন-যৌবন ভোগে
শুধুই গরিবের জীবন কাটে মহামারি আর রোগে।
এবং
কেনো তুমি শান্ত হয়েছো পথের খোঁজে?
ভুলো মন তোমায় কি বোঝে,
ক্ষণে ক্ষণে ঘুরে ফিরে দেয় আশার দোলা
জানি না শেষ হবে কবে ক্লান্ত পথচলা।
লোনা জলে সাগরের গায়ে মিশে গড়ি স্বপ্ন তিলে তিলে
রকমারি মাছের গড়াগড়ি যেনো সাগর ছেড়ে হয় বিলে।
জানিনে আবার কখনো হবে কি দেখা
ঐ মুখখানি ছিলো তার ভালোবাসায় মাখা।
যেও না সেথা, বলেছিলাম এটিই মোদের প্রথা
শোনে কে বলো মোর কথা? সবই যেনো অযথা!
তবুও ভালোলাগার সাতরং আর শরীরের ঢং
বুকের কোনো এক কোণে মরিচা ধরেছে করেছে জং
তার দুঃখ, হলো না দেখা আমায় এবং...
সুখের ঘর
নিজের কারণে ঘর ছাড়িয়া পরকে বানাইলা বর
জনমভর এক চৌকিতে পার করে শেষে বুঝলে সে নয় সেই নর
কী এক বেসুরা সুরে জগৎ ঝাঁকিয়ে বাঁধলো সুখের ঘর
শেষ জীবনে কী করে সামাল দেবো এই ঝড়।
নপুংসকের কোলে প্রজন্মের বড় অভিশাপ
এতো পরিতাপেও যেনো ঘুচেনি কারো পাপ
দুঃখের আগুনে জ্বলে বারেবারে ব্যঙ্গ অনুতাপ
বিধি! বাড়তি হায়াত না দিয়ে শুধু করো গুনাহ মাফ।
চুষে শুষে ভোগে রোগে কেড়ে নিয়ে সব দিলে না অধিকার
মন্দ কপালের বুক ফাটিয়ে দেখি তোমার অবিচার।
মনুষ্যত্ব অন্ধকারে
আমায় পথিক বলো পথ হারানোর শোকে
তোমার মিথ্যা শ্লোগানের মিছিল রেখে ছুটছে পূবদিকে
পশ্চিমের আলোয় বিশ্ব চমকায় জমকালো সুখে
ওদিকে কাঙ্গালির দেশে সব মরছে ধুঁকে ধুঁকে
এই অট্টহাসি থাকবে না আর সেই চিবুকে।
পুঁজিবাজারের রুটি-রুজিতে সব ঘুরছে চক্রাকারে
আরব মৌসুমে লাশ সারিসারি সময় নেই সৎকারে!
ঘুম ভাঙবে একদিন সব শকুনের বুকভাঙা ঐ শিশুর চিৎকারে
শপথ নেবো সবাই জেগে ওঠার ঐ জালিমের ধিক্কারে!
বাঁধা চোখে স্বপ্ন বিলাই মনুষ্যত্ব যদিও অন্ধকারে।
নগ্ন থাবা
ওরা কুলাঙ্গার
নপুংসকের দল
তাবেদারি আর দালালি ওদের বল
লাখো মুরিদের ভক্তি দশায়
চোরাবালির নেশায়
স্বপ্ন কেনাবেচায় ব্যস্ত এই পেশায়।
পদ কেনে পদ বেচে
হাজার হাজার কর্মী বুঝে না বুঝে নাচে।
এ কেমন খেলা চলছে সারাবেলা
বিপ্লবী সেজে যুদ্ধের সাজে মহড়ার তকমা গেলা।
ওরা পীরের বেশে থাকে দেন-দরবারে হাবা
আবার নিজেরে বলে দরবেশ বাবা,
গুটি চালে দিনরাত খেলে রাজনীতির দাবা;
দেশজুড়ে বিস্তৃত এদেরই নগ্ন নখর থাবা।
সব স্বার্থ ঘিরে
কতো দিন কতো স্বপ্ন শেষে,
মাঝরাতের ঘুম ভেঙে জেগে উঠি বসে,
পাইনি কিছুই যেনো জীবনের অংক কষে!
জগৎ সংসার আর এই ধর্ম কর্ম সব নিজের স্বার্থ ঘিরে,
তবুও সুখের সন্ধান যেনো পাইনি ঘুরে ফিরে
আশা-নিরাশার চোরাগলি জীবন তীরে।
অলস সময় ব্যস্ত সেজে যাচ্ছে কেটে সময়ের নিয়মে
কে আমি? কীবা আমি? কার জন্য আছি বেঁচে এই জনমে?
বুঝি না, নিজের সুখ কেনো এতো বেশি নিজেরই সুনামে!
এক এক করে কতো নরাধম মরে,
লৌকিক আত্মত্যাগের বাণী বাজে এই স্বরে,
সস্তা এই আবেগী আত্মায় নষ্টামী ভর করে।
নিজের আখের গুছিয়ে ভাগটা নিতে চাই আগে,
পরের লাগি হিসেব বাকি রেখে দেয় না কিছু তার ভাগে!
মনের মধ্যে বিষের সুরই নিরন্তর কেনো জাগে।
টোকাইরা যখন নেতা
নাপিতের দল যখন করে রাজ
টোকাইরা তখন হয় নারাজ।
দুরন্তপনার এই খেলায়- ভাসছি মোরা কোন ভেলায়
ওরা গড়বে দেশ জাতিরে করে নিঃশেষ।
কী এক আজগুবি দলকানার আনাগোনা চারিদিক!
পুরো যৌবন উল্টে পাল্টে করে হলো দিগি¦দিক।
ভেঙে ফেলো সব সম্পদ লুটেরার!
ভাংচুর করে লুটে নাও সেই কোষাগার,
ভয় নেই, টোকাই নেতারা যাবে না কভু কারাগার।
বিপ্লবীরা সব বেকুব হয়ে বসে আছে বিনা কামে
নাপিতের দল রাজনীতিতে এসে রাজ করে বিনা ঘামে।
দলবাজির এই রঙিন দোলায় নিত্য জীবন যাচ্ছে হেলায় ফেলায়
বাহারি নেতার ঢং সেজে ভরছে এ দেশ সব চোরের মেলায়।
দুর্বলের খোদা
তুমি আমায় লুটেছো বলে ভেবেছো হারিয়েছি সব
সান্ত¡না দেবো না মুখের বুলিতে শুধু দেখিবে ঐ রব
খোদা তো মোর একার না- সবারই তা জানা
তাই বলে তাঁকে বলার সাধ্য নেই আমার, তবে কি সে রাতকানা?
যে জেতে যেনো জীবনভর জিততেই থাকা
আর হারানো চাতকেরা খায় শুধু ধোঁকা
জীবনের যত রয়েছে পথ আঁকা বাঁকা,
বেলা শেষে খুঁজে দেখি সবই মোর ফাঁকা।
ওগো শত্রু, তুমি তো চিরদিনের শত্রু
সর্বনাশা এই মিছে খেলায়- খোদার দুয়ারে দু’হাত মেলায়
বিচারের অন্বেষায় বসেছি তার ভেলায়।
দুর্বলের এক খোদায়ী শক্তি বিনা
সবার থেকে শুধু পেয়েছি একরাশ ঘৃণা
নাই শক্তি-আছে ভক্তি-যদি পাই এ ধরায় মুক্তি
খোদা নিয়েও যেনো কতো ভেদাভেদ কতো না যুক্তি
দুর্বলের এই খোদা ছাড়া নেই তো কোনো শক্তি।
সব কাউয়ারা এক
জ্ঞানহীন যুবক বিদ্যা খোঁজে না
অর্থের ঘ্রাণ বোঝে।
বিত্তের পিছে ছুটে চিত্তকে পোক্ত করে,
পাড়ায় পাড়ায় ধান্দা ফিকিরের শক্ত কারিগর ধরে।
এ যেনো- রাতারাতি বড় হবার সমীকরণ
চারদিকে তাকালেই দেখে অনেক উদাহরণ।
কতো ভাই দল না বুঝে ফিকিরের দল করে,
সবার কাছে স্বপ্ন বেচে বল গড়ে।
কী যে সহজ নেতা নেতা খেলা এই শহরে
ছুটে চলে সবাই যেনো একই বহরে।
অংক সহজ-
বড় ভাই ধরো আর নিজেও পীরের ভাব ধরো
সব কাউয়ারা এক হয়ে গরিবের ভাগ মারো
দেখবে, হবে তোমাদের জাদুকরী জয়-
বড়ো ভাই আছে কীসের করো ভয়।
আমি
আমি নির্বাসিত- নিজের সাজানো বাগান থেকে বিতাড়িত
আমি ফেরারি- সারাক্ষণ বন্দুকের নলী করে তাড়া
আমি নির্যাতিত- অধিকার আদায়ের সংগ্রামে দেয় নাড়া
আমি বঞ্চিত- আমার মুখের খাবার কেড়ে নেয় যারা
আমি লাঞ্ছিত- অপমান অপদস্তে আমায় করে দিশেহারা
আমি প্রত্যাখাত- কাছের মানুষগুলো একা ফেলে যায় মোরে
আমি অনির্বাচিত- আমার ভোটগুলো কেড়ে নেয়
আমি শংকিত- পাশের বন্ধুরা গুম হয়ে যায় বলে
আমি পরাস্ত- বিজয় ছিনিয়ে হারিয়ে দেয়।
তবুও ঘুরে দাঁড়াবো আমি
হবো না কভু ক্লান্ত শ্রান্ত
দেশের চেয়ে কিছু নেই দামি।
মাতাও রজনী
অনবদ্য এক অবাধ্য প্রত্যাবর্তন,
বিবর্তনের এ যাত্রায় কবির আবর্তন
জ্ঞানী এখন মাদকের নেশায় সবারে করে আমন্ত্রণ।
যুক্ত হয়েছে বিদ্রোহের নতুন মাত্রা
ছিন্ন এই খেলায় পেরিয়েছি সারাবেলা
অবাক নৃত্য দেখি শুধু যেন বক্ষযুগল ও নিতম্বের মেলা।
সংকীর্ণ এই পদধ্বনীর ডাকে বর্ষবরণের চরম অশনি
ওদের মাতাও তুমি সারারজনী।
নোংরা জল
ভণ্ড পীরের তুমি এক যোগ্য মুরিদ
এমনই পীর
জৈবিক ক্ষুধা মেটায় বাবা তোমার দেয়া শুরায়
তবুও যৌবনের সাধ যেনো তার কভু না ফুরায়।
শিরাবনত হাজারো ভক্ত পায়ের চুম্বনে হয় যে অনুরক্ত
হুজুর আমার সম্বোহনে সিদ্ধহস্ত সকলকেই করে আসক্ত
যশঃ হাতে কেরামতিতে সত্যিই পাকাপোক্ত।
শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত বাবার ঘর
খোদার পরই হুজুরের নামে জিকিরের যেনো ঝড়।
মুনাফিক এই দলের সেরা অনুসারী হওয়ার বদৌলতে,
গোটা তালুক ভয়ে কাঁপে তোমার চোখের ঝলকানিতে।
হায়রে সমাজ যে পাপের ঘরে শরীর সঁপেছি,
ধর্ম বেচে কর্ম ছেড়ে স্বর্গের বরাদ্দ বেচেছি।
পীরের দালালি করে তোরা হয়েছিস স্বর্গের ফেরিওয়ালা
চেতনার এতো যাতনা কি দেখে না উপরওয়ালা?
হায়রে নিয়তি দেখো! ওদের সরল প্রতিবেশী ভাইদের,
দু’বেলা আহার জোটে না যদিও বা ওরাই প্রকৃত বংশ শহীদের,
দেখে যা- পীরের মুরিদ না হলে পরিণতি হবে ঐ বিষাদের।
কতো বলি ওদের, আমার জীবনটা দেখ
নষ্টামির এই মিষ্টি ফলের স্বাদের কর্ম শেখ।
ভ-ের এই দলগুলোতে আজ আছে পাগল সন্যাসীর মেলা
লেবাস পরে সাধু বেশে আছে ওরা, ওটাই তাদের গর্বের খেলা।
আর সরল এই অভুখা নীতি পূজার দল
শরীরের কঙ্কালসারে অন্নহীন জীবনে তাই নেই দু’ছটাক বল
জীবনের মায়া ঘরে বড় হতে চাইলে খেয়ে যা এই নোংরা জল।
মূল্যহীন প্রাণ
লাশ চায় ঐ শকুনের দল,
যার যায় সে ছাড়া দেখে না কেউ তার চোখের জল।
লাশের খেলায় দলবাজদেরই বাড়ে বল,
ক্ষমতায় যে যায় শুধু তার কথাই বলে বন্দুকের নল।
আর কতো লাশ হলে ক্ষমতার পালা বদল হবে,
কতো মায়ের বুক খালি হলে আন্দোলন সফল হবে?
জানে না কেউ, জানি না আমিও
রক্তমাখা মৃত যুবকের মুখ দেখে কারো আর বুক কাঁপে না
শত হুংকারেও ঐ পিশাচের ঘুম ভাঙে না,
ধিক্কার কিংবা লজ্জায়ও লোভী শকুনের জিহ্বা দমে না।
এক নূর হোসেনের বলিদানে দমেছিলো স্বৈরাচারের সব অভিযান
আজ নিত্য হেথা কত নূর হোসেন দিচ্ছে তাদের প্রাণ
সকালের দানা বাঁধা বিপ্লব যেনো বিকালেই হয়ে যায় ম্লান
কবে শুনবে এই জাতি বিজয়ের গান।
ভাগ্য হে নূর হোসেন ভাই তোমার,
এই দশকে শহীদ হলে নিতো না খবর তোমার,
খালি গায়ে আজ তুমি যতই লেখো,
গণতন্ত্রের সংজ্ঞা এখন নতুন করে শেখো।
তবুও মরার দল বোঝে না অংকের ফলাফল
ক্ষমতালোভীদের বিবেক করে ছলাকল
এই গঙ্গার হিস্যায় জানি আসবে না এখন কোনো জল।
ভাগ-বাটোয়ারার ডুগডুগি ভেঙে গর্জে ওঠো নতুন রঙে,
জয় পরাজয় হিসেব না কষে এসো বন্ধু আমার সঙ্গে।
আওয়াজ ধরো
পড়ো তোমার প্রভুর নামে- তারপর বাছা কী হবে?
কত জ্ঞান দেবে এই ধ্যানে- চিত্তের বিধানে,
পূর্ণ করো তুমি- যেথায় তোমার তৃপ্তি রয়েছে পরাণে।
বিদ্যার ঝুড়ি লয়েছো তুমি সিন্ধুক ভরি
নিজেরে চিনিতে কতো আলো তোমার চাই
পরের লাগি এই বিদ্যার বৃথা চেষ্টা দ্রোহি।
মিছা এই জ্ঞান মিছা এই সময় নষ্ট
জীবনভর পাঠশালায় হয় নষ্ট
তাই আজ সকল ভা-ার হয়ে গেলো উচ্ছিষ্ট।
কার লাগি তুমি পড়ো দিনরাত
স্বার্থের এই ধ্যানে খুলেছো নতুন খাত
ভেঙে ফেলো তোমার ভ-ামীর কলমি হাত।
তবুও বলি পড়ো- খোদার নামে আওয়াজ ধরো
বিলায়ে সকল আলো হয়ে ওঠো সবার বড়ো।
খোদা মানি
দরিদ্ররে এই উপহাস করবে তুমি কতো, ও বিধি?
প্রকৃতির এই দুর্যোগের জ্বালা- এমন একপেশে নীতি।
দুঃখ কষ্টের সব ঠিকাদারী বুঝি মরার ঘরে
প্রাসাদে বিত্ত আর সুখ দিয়েছ শুধু ওদের তরে।
ক্ষুধায় করি হাহাকার নিত্য-
প্রতিহিংসায় তাই কালো হয়েছে পিত্ত,
আমরা কি প্রভু সুধা পানে কভু হবো না সিক্ত?
যাকাত ফিতরা আর দান খেয়ে জীবন চলে
সেই ভিক্ষা আনতে আবার লাশ গলে।
জ্ঞানী তুমি- পাপীদের দাও দ- ইহকাল-পরকাল
বিনা পাপে মোরাও খাটছি সদা যাবৎকাল।
এ কেমন যাচাই তোমার প্রলয়ের জালে,
কেউ বলে এই অভিশাপ শুধু পাপের ফলে
হয় এই সাজা কারো পাপে তাপে- ধোয় না কোনো জলে।
স্রষ্টা তোমায় নিত্য মানি-
কষ্টের জীবনে যতই টানি ঘানি
রোগে শোকেও শুনি তোমারই বাণী
খোদা তোমায় মহান মানি।
দুনিয়ার হাজারো ধারা
রক্তের বাঁধনে বেঁধেছো তোমার জাত
এক পাতে খেয়ে কাটাও কত রাত
চারিদিকে জৌলুসের অনেক উৎপত্তি
হ্যাঁ জন্ম হয়েছে এক ঘরে- মা ডাকো একই স্বরে
মাতৃদুগ্ধ দানেও শিশুর ঘাম নাহি ঝরে।
আজ কেনো দু’জনে দু’পথে থাকো নির্জনে
বিশ্ব জয়ের মন্ত্রে তোমার সুখ দু’নয়নে
সহোদর এখনো থাকে গাঁয়ে খায় আজও পুরনো বাসনে।
দু’জনার দু’টি পথ- ভাগ্যের নির্মম চাকা
পৃথিবীর সব রথ সত্যিই আকাবাঁকা
এক ঘরে জন্মেও কেউ পায় না কারো সাড়া
দুনিয়াজুড়ে এটাই নিয়ম চলছে হাজারো ধারা।
যড়যন্ত্র
তোমায় দিনরাত সবাই করে প্রণাম বুকের মধ্যে সুখ
ভরে ওঠে দম্ভে ঐ মুখ
বস্তির সব নোংরা জলে বাড়ছে অসুখ।
বিষ মেশানো সব শস্য দানা ভুখার দুয়ারেই দেয় হানা
এই অন্ন শুধু যেনো বিদেশী পণ্য- তোমার হৃদয় ধন্য,
পঁচা গম আর ফরমালিন মেশানো ফল তো শুধু গরিবেরই জন্য।
গভীর এই ষড়যন্ত্র এঁটেছে এই গণতন্ত্র- যা কিনা মূলমন্ত্র
দুর্বলেরে শুধু দুর্বল রাখার চিরদিনের ষড়যন্ত্র।
মিছিলের একাল
মিছিলের একাল যেনো প্রাণের আকাল
আগুন ঝরে না কণ্ঠে শিখাহীন মশাল,
সব যেনো পয়সা দিয়ে নিয়ে আসা পঙ্গপাল।
চেতনার যে যাতনা তাই কারো বুঝি মিছিলে মন বসে না;
নেতা এসে চলে যায়- পত্রিকার ছবি তুলে চলে যায়
বিদায়কালে বলে যায়-
ভাইসব এগিয়ে চলো, কিন্তু কোথায়?
সংগ্রাম বুঝে না- শুধু বুঝে গড়তে নিজের নাম-দাম
হাজারো মিছিলের আয়োজন চলে-
তবুও আন্দোলনের নির্মম পরিণাম।
নেতার নামে মুখরিত রাজপথ শ্লোগানে শ্লোগানে
কতো প্রাণ যায়, কত কর্মী আসে যায় এ অঙ্গনে
সকালের মিছিলেও ঝরেছে রক্ত
নেতার ততই বাড়ছে ভক্ত
কারো জন্য নয় সে অনুতপ্ত
সেকালের মিছিলে একালের নেতার হৃদয় বড় শক্ত।
নেতার মাজার
কামবাসনায় মত্ত গুরু- যদিও সে ধর্মভীরু
রসনা বিলাসের আয়েশেই দিনের যাত্রা শুরু।
কীরে গুরু ধর্মের লাগি খাও রুটি পুরু
কর্ম বিনা সুখ খোঁজো মনে হাতিয়ে ঐ উরু।
এই নদী পাড়ের লালসালু- কত নামে আরো হচ্ছে চালু
দোহাই তোদের ধর্ম না বেচে
কর্ম দিয়ে আঁকো নতুন নকশার সালু
পীরের ভীড়ে হারিয়েছে সব-
মাজারে মাজারে উঠছে খালি রব
নেতার মাজারে টুপি না লাগে
পীর বাবার মাজারে শিন্নী ভাগে ভাগে।
কত মাজার আজ এই বাজারে-
রাজনীতিতেও পীরবঙ্গ নাহি ছাড়ে
সব কাজেই মানত করো
যেথায় যাও মাজার ধরো।
জেল খেটে আর শত কষ্টে দিন কেটে
ঘরে না গিয়ে আগে নেতার মাজার যাও হেঁটে
রাশি রাশি ফুল আর সাথে লোকবহর নিতে যদি হয় ভুল
মাসুল দিতে দিতে পাবে না তবে কোনো কূল।
অপেক্ষার কাল বিকেল
মন বলে অরাজক রাষ্ট্র আমার
বিংশ শতকের নিকৃষ্ট পশুত্ব আর হিং¯্রতাকে
করো না অস্বীকার।
কেনো এই নৈরাজ্য?
চুপ থাকাটা যেনো আজ অনিবার্য;
গণতন্ত্রের মন্ত্র পড়িয়ে করলে স্বৈরশাসনে আবদ্ধ
রাষ্ট্রযন্ত্রের এই মাতমে জাতি হয় দগ্ধ
কত দিন তোমার চলবে ক্ষমতার পালা
দিন দিন বাড়ছে গরিবের জীবনে জ্বালা
আসবে সুদিন একদিন- ঘুচবে সাধ-
কেড়ে নেবে গলা থেকে ফুলের মালা।
হতাশায় যুবক দিন করে পার-
নেশায় দেহ হচ্ছে ছারখার
সব লুটে পুটে ব্যাংক, রাজকোষ,
ভুখার কেড়ে নিয়ে আহার।
দেখে নিও- আর যাবে না কেউ ঐ মাজারে
সওদা নিতে আসবে না আর এই বাজারে।
জাগো সবে মিলে- কতো খাবে ঐ শকুন তিলে তিলে
বিজয়ের পতাকা উড়বে কাল বিকেলে।
পাপ
বিধাতা তুমি মৃত্যু দাও বলে বাঁচার অনেক সাধ
এ সমাজ তবুও সৃষ্টির মহামর্ম না বুঝে করে বিবাদ,
ক্ষণিকের এ মহাযজ্ঞে সারাবেলা করে স্বপ্নের আবাদ।
আমায় নিয়ে যাও প্রভু শেষ ঠিকানায়
জীবনটা ডুবে আছে লাভ ও সুখের প্রতারণায়
কী হবে থেকে ক্ষণজীবনের মহামায়ায়।
যতটুকু শ্বাস লিখেছো এই বাঙ্গালীর নামে
বিশ্বাস রাখি কর্তা হে তোমায়, যা আছে পরিণামে
প্রতিক্ষণে যেনো পাই গড়ার ভাবনা পরের প্রেমে।
জানি এ দেহ লাশ হবে তবুও মেটে না অভিলাষ
মাটির সঙ্গে মাটি মিশে দম্ভের হবে বিনাশ,
জীবনভর পা দিয়ে চূর্ণ করেছি যে মাটি- তারই হবো দাস।
ওগো খোদা কেনো এতো অভিশাপ
লড়াই সংগ্রামে এ ভোগের ঘরে হয় না কেনো অনুতাপ
প্রতিবেলা লোভে ক্ষোভে গড়ি নিজের পাপ।
আড্ডা
আড্ডার আবার জাত কীরে বিজাত
দেহেরে দাও অন্ন তুমি- আড্ডা দিয়ে ধন্য আমি।
পেটের ক্ষুধাই কী সব ক্ষুধা
তবে অস্থিরে কেনো করো পান- কামের সুধা।
স্বার্থের লাগি যারা করে আড্ডা
তারা ওড়ায় শুধু জাত ব্যবধানের ঝা-া
আমরা তো তাই জ্ঞান পিপাসার তৃষ্ণা মেটাই
বন্ধুর উঠোনে কভু আতপ চালের জাউ আর মাসকলাই
ভাগ করে চেটেপুটে গল্প জমাই
এ জঞ্জাল ছেড়ে সব অস্থিরতা দমাই।
কামুকতা
সংসার ছাড়ো বৈরাগ্য ধরো,
এ উচ্চ শীরকে ভেঙে নত করো।
দেহের সুখ আর ঠোঁটে ঠোঁটে মুখ না দিয়ে,
মিছিলের শব্দে ফাটাও এ জিহ্বা শুকিয়ে।
ঘামে মাখা দেহখানি রাঙাও রক্ত স্ফুলিঙ্গে,
লাথি মারো ঐ ভোগে মত্ত সব কাপুরুষের লিঙ্গে।
বজ্রকণ্ঠে আওয়াজ তুলো-
নিজের ঠিকানা ছিঁড়ে ফেলো,
পুলিশের কাছে রয়েছে তোমার যত নালিশ,
রক্তের দামে প্রতিশোধের ক্রোধে বসাও সালিশ।
যা তুমি ভাবো সত্য- তাই করো আলিঙ্গন,
মিথ্যা কামুকতায় গাঁথা এ কানুন করো লঙ্ঘন।
জীবনটাই কি ছিলো ভ্রান্ত?
প্রহসনের এই নষ্ট প্রহরে
কত অংক করেছি জন্ম ভরে,
কভু হারি কভু জিতি,
তবুও শান্তিতে থাকতে চাই নিজ ঘরে।
চড়াই-উৎরাইয়ের গোটা জীবন যেনো বাঁচা-মরার লড়াই,
তবুও স্বপ্ন দেখার মহোৎসবে কভু করি না বড়াই।
গড়ার খেলায় ভাঙি নিজে বারবার,
ঘুরে ফিরে দেখি সাথে কেউ নেই আমার,
একাকী এই নীরব সংগ্রামে হেরে হেরে জিতেছি আবার।
জন্মেছি যে ঘরে
দিন শেষে ফিরেছি মন ভরে,
সিথানের তুলতুলে মালসিতে
মুখ লুকানো অশ্রু ঝরে।
জীবনযুদ্ধে ক্লান্ত হয়েও থাকি শান্ত,
বিশ্বাস হৃদয়ে প্রশ্ন আমার-
জীবনটাই কি ছিলো ভ্রান্ত?
No comments:
Post a Comment