আজ বহুবছর পর দুটি স্মৃতি ইনবক্সে এসে উঁকি দিলো। কত সুর কত গান মনে পড়ে গেলো। মানুষের কত স্মৃতি অযত্নে অবহেলায় নষ্ট হয়ে যায়। আমার স্মৃতিরা যত্নে আছে, এটি আমার জন্য সৌভাগ্যের। যারা যত্ন করে সংরক্ষণ করেছে, তাদের প্রতি নিরন্তর কৃতজ্ঞতা।
চিঠিটা সম্ভবত ২০০১ সালে লেখা। চিঠি নয় চিরকুট। যাকে লিখেছিলাম সে এখনও যত্ন করে রেখে দিয়েছে। এটিই প্রীতির নিদর্শন। আমার একমাত্র ছোটো বোনের নাম আয়েশা। আর এ বোনটির নামও আয়েশা, আয়েশা বিনতে ইদ্রিস। চট্টগ্রামের মেয়ে। এখন অবশ্য ব্যারিস্টার স্বামীর কর্মসূত্রে ঢাকায় অবস্থান করে।
আর কবিতাটি ২০০৬ এ লেখা। আবৃত্তি কর্মশালার এক সহপাঠিকে নিয়ে লেখা। তার বিয়ের পর কবিতাটি উপহার দিয়েছিলাম। তার নাম শিরিন। স্বামী-সন্তান আর সংসার নিয়ে ব্যস্ত একটি মেয়ে। একই শহরে থাকি, অথচ কারও সময় নেই পুরনো দিনের স্মৃতি রোমন্থনের। তার হাজবেন্ড রাজু ভাই অমায়িক একজন মানুষ, পরমাণু বিজ্ঞান অধিদপ্তরের কর্মকর্তা।
কত স্মৃতি দোলা দেয় মনে। সব স্মৃতি ফিরে আসে না জীবনে। এই তো জীবন, স্নেহ-প্রীতি-ভালোবাসা আর দুঃখ-বেদনা-দীর্ঘশ্বাসের সমষ্টি। ভালো থাকুক স্মৃতিরা, মুগ্ধ থাকুক প্রীতিতে।
No comments:
Post a Comment