Tuesday, August 4, 2015

পে-স্কেল ভাবনা: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকগণ কি উপহাসের পাত্র হতে চলেছেন?

আভাস, পূর্বাভাস বা সর্বনাশ... কোনো খবরই পাওয়া যাচ্ছে না। বলছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সম্মান ও ন্যায্য অধিকারের বিষয়ে। পে-স্কেলের আলোচনা কেমন যেনো ডুব মেরেছে। ঈদের আনন্দে আমরা অনেকে নেশাতুর। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষকদের মনে প্রচণ্ড ভাংচুর। এই বুঝি, শিক্ষকদের ম্রিয়মান কণ্ঠকে আরও খাদে নামিয়ে দেয়া হলো- এই শংকায়। শিক্ষকগণ যেটুকু ভদ্রোচিত প্রতিবাদ বা আন্দোলন করেছে, সেজন্য উপহাসের পাত্র হবার সমূহ সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দাবীগুলোর প্রতি কোনোরূপ সম্মান দেখানো না হয়, তাহলে আমলা বা সরকারি কর্মকর্তাদের সামনে মুখ তুলে দাাঁড়ানোর কোনো মুখ থাকবে? তারা দাঁত কেলিয়ে বলবে বা ইশারা-ইঙ্গিতে প্রকাশ করবে- আন্দোলন করে কী ছিঁড়তে পেরেছ? আমরা যা দিয়েছি তা নিয়েই তো মুখ বুজে থাকতে হলো। এ লজ্জা কি তখন আমাদের শিক্ষক নেতৃবৃন্দের বা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের বা বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের গায়ে লাগবে না? আমাদের উপাচার্য মহোদয়গণ মেয়াদ শেষে তো অধ্যাপক হিসেবেই অবসরে যাবেন, তাঁরা কি এই অমর্যাদার শিকার হবেন না? একটু ভেবে দেথুন, সবাই মিলে।

Thursday, July 9, 2015

মধ্যবিত্ত বাবা

রাতে খাওয়ার পর বাবার সামনে দাঁড়িয়ে কাঁচুমাচু করে বলেই ফেলে,
" বাবা, আমার একটা এন্ড্রোয়েড লাগবে ! "
" দাম কত এ ফোনের ? "
" পনের বিশ হাজারের মতো ! "
.
দাম শুনে বড় একটা ধাক্কা খেলেও ছেলেকে বুঝতে দেন না বাবা ... তবু ছেলে খুশী থাক। ছেলেকে জাতে উঠাতে গিয়ে নিজে সেধে খাদে নামেন বাবা ...
.
মধ্যবিত্ত বাবাদের জুতোর তলা সবসময় ইতিহাসের সাক্ষ্য দেয় ...
ক্ষয়ে ক্ষয়ে ... সয়ে সয়ে ...
.
প্রতিদিন অফিসে যাওয়ার পথে বাটার দোকানের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় নিজেকে স্মরণ করিয়ে দেন বাবা ... "চার বছর হয়ে গেলো, এ জোড়া জুতোকে এবার মাফ করা দরকার।"
.
জুতো কিনবো কিনবো করে ছোট ছেলের সেমিস্টার ফাইনাল চলে আসে, তিরিশ পঁয়ত্রিশ হাজার টাকার ব্যাপার... কিংবা ভার্সিটির ভর্তি কোচিং... নিজেকে বলেন, "ছেলের ক্যারিয়ার সবকিছুর আগে!"
.
অতঃপর আরও একবার প্রাগৈতিহাসিক জুতো জোড়া নিয়ে জুতোর ডাক্তারের কাছে দৌড়ায় মধ্যবিত্ত বাবা ... সে জুতো দেখে মুচিও নাক কুঁচকায় ...
"এ জোড়ায় আর কত বেলা যাবে, স্যার ? পকেটটা একটু খুলেন !"
.
শুনে যায় বাবা। কিছু বলে না। ছেলেটা সকালে টাকা নিয়ে গেলো... শীত এসেছে, জুতো কিনবে।
কি যেন নাম! কনভাস না ক্যানভাস ... যে ক্যানভাসে ছবি আঁকে, সে ক্যানভাস আবার কখন মানুষের পায়ের কাছে পৌঁছে গেলো, ভেবে পান না বাবা ...
.
মধ্যবিত্ত বাবাদের অবশ্য বুঝতে হয় না কখনো ... একটু আধটু বুঝতে গেলে বৌ, ছেলে কিংবা মেয়ের ধমক জোটে কপালে "তুমি আমার চেয়ে বেশী বোঝো ?"
.
মধ্যবিত্ত বাবারা তাই অবুঝের মতো দিয়ে যান ...
এভাবে দিতে দিতে একদিন বুকের বামপাশের ব্যাথাটা জেগে উঠে ... অবহেলায় অবহেলায় একদিন এনজিওগ্রাম করান বাবা ...
ধরা পড়ে, হার্টে নাকি জ্যাম, ব্লক টক ... !
.
রিং পড়াতে হবে ... সারাজীবন জ্যাম ঠেলে বাসে ঝুলে
হার্টেও জ্যাম লেগে যায় মধ্যবিত্ত বাবার ...
ঠিক যে মুহূর্তে নিজের হার্টে রিং পড়ানো নিয়ে টেনশন করা দরকার ... বাবার টেনশন লাগে মেয়েকে "রিং" পড়ানো নিয়ে ... তিনি মারা গেলে মেয়েটার বিয়ে দেবে কে?
.
রাজকন্যা ধরে আনে এক রাজপুত্রকে। সে রাজপুত্রের আবার ভীষণ ক্ষিদে ...
ঘর সাজানোর পাশাপাশি রাজপুত্র টুয়েন্টি টু ক্যারেটের ডায়মন্ডের আংটি আবদার করে ...
মেয়েও বলে, "দাও না, বাবা ! একটাই তো মেয়ে জামাই তোমার !"
.
রাজকন্যার রাজপুত্রকে ডায়মন্ডের রিং পড়াতে গিয়ে নিজের হার্টের রিং পড়ানোকে টঙ্গের ওপর তুলে রাখে মধ্যবিত্ত বাবা ... একটাই তো জামাই। বিয়ে হয় মহা ধুমধামে ... হাজার মানুষ মিলে গান্ডে পিণ্ডে খায়, হলুদে ব্যান্ড পার্টি আসে, লাল সুতো বের হয় বাবার ... তবু হাসিটা ধরে রাখেন ... !
.
তারপর একদিন ... সেই মুহূর্তটা আসে ... ব্যাথাটা জেগে উঠে ...
অবাক হন না বাবা ... জানতেন, অবহেলার শোধ নেয়া হবে ...
বেশীরভাগ সময় হাসপাতালের পথে থাকতে চোখ বন্ধ করেন বাবা, আর না হলে আইসিইউতে নিভে যায় সূর্যটা ... কিছু না বুঝেই ...
.
মধ্যবিত্ত বাবাদের হয়তো বুঝতে হয় না ... তাদের কাজ হল দিয়ে যাওয়া ... মধ্যবিত্ত বাবারা হলেন চলমান সুপার স্টোর। অ্যাগোরার জায়গায় বাবাদের বসিয়ে দিলেই হয় ...
.
মধ্যবিত্ত বাবারা সূর্য হন ... রোদ দেন ... আবার গাছকে টেনে তুলে ছায়া দেন, অক্সিজেন দেন।
আমরা সেই সূর্যের খেয়ে পড়ে চোখে একটা রোদচশমা লাগাই সূর্য থেকে পালাবার জন্য।
.
বোঝা যায় না ...
কিন্তু যেদিন দপ করে সূর্যটা নিভে যায়, সেদিন বোঝা যায় সূর্যগ্রহণ কাকে বলে ... !!!
Courtesy: ওয়ারিশ আজাদ নাফি

Sunday, February 15, 2015

Making Selections with the Pen Tool in Photoshop

One of the great things about the Pen Tool is that it's not something that's exclusive to Photoshop. Far from it! Virtually every popular photo editing, graphics and page layout program uses the Pen Tool in one form or another , so once you've learned how to use it in Photoshop, you'll already have a good understanding of how to use it in lots of other programs as well!

Where Do I Find The Pen Tool?

Before we start talking about what the Pen Tool is or how to use it, we should look at where to find it in Photoshop first. You'll find the Pen Tool in the Tools palette, grouped in with the Shape Tools, the Type Tool, and the Path Selection (the white arrow) and Direct Selection (the black arrow) Tools (see the image on the left).

Sunday, January 4, 2015

ডাটা এন্ট্রি: আউটসোর্সিং শুরুটা যেভাবে…



কিভাবে লেখা শুরু করি, দ্বিধান্বিত। এমন দ্বিধা নিয়েই শুরু হয়েছে আমার আউটসোর্সিং। আমি কি জব পাবো? আমার প্রোফাইল কিভাবে ১০০% করব? কোন কাজটা আমি পারব? কিভাবে জব এ এপ্লাই করব? কত প্রশ্ন মনে, আরও কত দ্বিধা। প্রথমে যারা আউটসোর্সিং করে তাদের কথা শুনে শুনে একাউন্ট খোলার পরও দ্বিধান্বিত আমি কাজ শুরু করতে পারিনি। তারপর আমাদের গুরু ‘মোঃ আমিনুর রহমান’ এর উৎসাহে এবং তাঁর লেখা “আউটসোর্সিং শুরুটা যেভাবে এবং শুরু করার পর” বইয়ের বদৌলতে আমি এখন একজন ছোটো-খাটো ফ্রিল্যান্সার।