Saturday, March 30, 2013

আমাদের প্রিয় আতিক স্যার

শিক্ষকের ক্যাম্পাস
এখনো বই-ই সবচেয়ে আপন বন্ধু
অনার্স থেকে মাস্টার্স সব স্তরের শিক্ষার্থীদের আপন মানুষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. এ এস এম আতিকুর রহমান। শত ব্যস্ততার মাঝেও শিক্ষার্থীদের সময় দিতে ভুলেন না তিনি। শিক্ষার্থীদের তিনি নিজের সন্তানের মতই দেখেন। শিক্ষার্থীরাও এ মানুষটিকে কখনো শিক্ষক, কখনো অভিভাবক আবার কখনো বন্ধু হিসেবে কাছে পায়। বিচিত্রগুণের অধিকারী, সদা হাস্যোজ্জ্বল, তারুণ্যে উদ্দীপ্ত, শিক্ষানুরাগী এই মানুষটির সঙ্গে কথা বলে লিখেছেন - মো. জাবেদ হোসেন।
আপনার শিক্ষাজীবন কিভাবে কেটেছিল?

Wednesday, March 27, 2013

নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ (প্রভাতসংগীত)
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪১)

আজি এ প্রভাতে        প্রভাতবিহগ
    কী গান গাইল রে!
অতিদূর দূর        আকাশ হইতে
    ভাসিয়া আইল রে!
না জানি কেমনে        পশিল হেথায়
    পথহারা তার একটি তান,
    আঁধার গুহায় ভ্রমিয়া ভ্রমিয়া
    গভীর গুহায় নামিয়া নামিয়া
    আকুল হইয়া কাঁদিয়া কাঁদিয়া
          ছুঁয়েছে আমার প্রাণ।
আজি এ প্রভাতে        সহসা কেন রে
    পথহারা রবিকর
আলয় না পেয়ে        পড়েছে আসিয়া
    আমার প্রাণের ’পর!
বহুদিন পরে        একটি কিরণ
    গুহায় দিয়েছে দেখা,
পড়েছে আমার        আঁধার সলিলে
    একটি কনকরেখা
    প্রাণের আবেগ রাখিতে নারি
    থর থর করি কাঁপিছে বারি,
    টলমল জল করে থল থল,
    কল কল করি ধরেছে তান।
আজি এ প্রভাতে        কী জানি কেন রে
    জাগিয়া উঠেছে প্রাণ।
    জাগিয়া দেখিনু চারিদিকে মোর
    পাষাণে রচিত কারাগার ঘোর,
বুকের উপরে        আঁধার বসিয়া
    করিছে নিজের ধ্যান।
না জানি কেন রে        এতদিন পরে
    জাগিয়া উঠেছে প্রাণ।

জাগিয়া দেখিনু আমি আঁধারে রয়েছি আঁধা,
আপনারি মাঝে আমি আপনি রয়েছি বাঁধা।
রয়েছি মগন হয়ে আপনারি কলস্বরে,
ফিরে আসে প্রতিধ্বনি নিজেরি শ্রবণ-’পরে।
দূর দূর দূর হতে ভেদিয়া আঁধার কারা
মাঝে মাঝে দেখা দেয় একটি সন্ধ্যাতারা।
তারি মুখ দেখে দেখে    আঁধার হাসিতে শেখে,
তারি মুখ চেয়ে চেয়ে করে নিশি অবসান।
শিহরি উঠে রে বারি,     দোলে রে দোলে রে প্রাণ,
প্রাণের মাঝারে ভাসি    দোলে রে দোলে রে হাসি,
দোলে রে প্রাণের ’পরে আশার স্বপন মম,
দোলে রে তারার ছায়া সুখের আভাস-সম।
মাঝে মাঝে একদিন আকাশেতে নাই আলো,
পড়িয়া মেঘের ছায়া কালো জল হয় কালো।
আঁধার সলিল-’পরে    ঝর ঝর বারি ঝরে
ঝর ঝর ঝর ঝর, দিবানিশি অবিরল-
বরষার দুখ-কথা, বরষার আঁখিজল।
শুয়ে শুয়ে আনমনে দিবানিশি তাই শুনি
একটি একটি ক’রে দিবানিশি তাই গুনি,
তারি সাথে মিলাইয়া কল কল গান গাই-
ঝর ঝর কল কল- দিন নাই, রাত নাই।
এমনি নিজেরে লয়ে রয়েছি নিজের কাছে,
আঁধার-সলিল-’পরে আঁধার জাগিয়া আছে।
এমনি নিজের কাছে খুলেছি নিজের প্রাণ,
এমনি পরের কাছে শুনেছি নিজের গান।

Monday, March 25, 2013

ভয়াল সেই ২৫ মার্চ ১৯৭১


সোমবার ভয়াল ২৫ মার্চ। ১৯৭১ সালের এইদিনে বাঙালি জাতির জীবনে এক বিভীষিকাময় রাত নেমে আসে। মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানানদার বাহিনী তাদের পূর্ব পরিকল্পিত অপারেশন সার্চলাইটের নীলনকশা অনুযায়ী আন্দোলনরত বাঙালিদের কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেয়ার ঘৃণ্য লক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

মার্কিন সাংবাদিক রবার্ট পেইন ২৫ মাচর্ রাত সর্ম্পকে লিখেছেন, “সে রাতে ৭০০০ মানুষকে হত্যা করা হয়, গ্রেফতার হলো আরো ৩০০০ লোক। ঢাকায় ঘটনার শুরু মাত্র হয়েছিল।সমস্ত পূর্ব পাকিস্তান জুড়ে সৈন্যরা বাড়িয়ে চললো মৃতের সংখ্যা। জ্বালাতে শুরু করলো ঘর-বাড়ি, দোকান-পাট লুট আর ধ্বংস তাদের নেশায় পরিণত হলো যেন। রাস্তায় রাস্তায় পড়ে থাকা মৃতদেহগুলো কাক- শেয়ালের খাবারে পরিনত হলো। সমস্ত বাংলাদেশ হয়ে উঠলো শকুন তাড়িত শ্মশান ভূমি।”

পাইকারি এই গণহত্যার স্বীকৃতি খোদ পাকিস্তান সরকার প্রকাশিত দলিলেও রয়েছে। পূর্ব পাকিস্তানের সংকট সম্পর্কে যে শ্বেতপত্র পাকিস্তানি সরকার মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্রকাশ করেছিল, তাতে বলা হয়: “১৯৭১ সালের পয়লা মার্চ থেকে ২৫ মার্চ রাত পর্যন্ত এক লাখেরও বেশী মানুষের জীবননাশ হয়েছিল।”

১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়লাভ করা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের কাছে পাকিস্তানি জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না করার ফলে সৃষ্ট রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনের প্রক্রিয়া চলাকালে পাকিস্তানি সেনারা কুখ্যাত ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নাম দিয়ে নিরীহ বাঙালী বেসামরিক লোকজনের ওপর গণহত্যা শুরু করে। তাদের এ অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগসহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রগতিশীল রাজনৈতিক নেতা-কর্মীসহ সকল সচেতন নাগরিককে নির্বিচারে হত্যা করা।

এদিন সকালে পাকিস্তান পিপলস্ পার্টি (পিপিপি) প্রধান জুলফিকার আলী ভুট্টো প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে ৪৫ মিনিটি ধরে বৈঠক করেন।

সকাল ৯টায় ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে নিয়মিত কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করে। বিকেলে পল্টন ময়দানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও মজদুর ফেডারেশনের উদ্যোগে জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ফরওয়ার্ড স্টুডেন্ট ব্লকের গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হয়।

রংপুর, সৈয়দপুর ও চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর গুলিতে ১১ জন নিহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া যায়। সেনাবাহিনীর এ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু ২৭ মার্চ সারা দেশে হরতাল আহ্বান করেন।

এদিন বঙ্গবন্ধু ব্যবসা-বাণিজ্য বিশেষ করে পাট ব্যবসা ও টেলিযোগাযোগ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। তিনি দেশের রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানে সরকারের অতিরিক্ত কালক্ষেপণে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

দুপুরের পর থেকেই ঢাকাসহ সরারদেশে থমথমে অবস্থা বিরাজ করতে থাকে। এদিন সকাল থেকেই সেনা কর্মকর্তাদের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মত। হেলিকপ্টার যোগে তারা দেশের বিভিন্ন সেনানিবাস পরিদর্শন করে বিকেলের মধ্যে ঢাকা সেনানিবাসে ফিরে আসে।

ঢাকার ইপিআর সদর দফতর পিলখানাতে অবস্থানরত ২২তম বালুচ রেজিমেন্টকে পিলখানার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিতে দেখা যায়।

এদিন মধ্যরাতে পিলখানা, রাজারবাগ, নীলক্ষেত আক্রমণ করে পাকিস্তানি সেনারা। হানাদার বাহিনী ট্যাঙ্ক ও মর্টারের মাধ্যমে নীলক্ষেতসহ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা দখল নেয়। সেনাবাহিনীর মেশিনগানের গুলিতে, ট্যাঙ্ক-মর্টারের গোলায় ও আগুনের লেলিহান শিখায় নগরীর রাত হয়ে উঠে বিভীষিকাময়।

পাকিস্তানি হায়েনাদের কাছ থেকে রক্ষা পায়নি রোকেয়া হলের ছাত্রীরাও। ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেব ও জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য, ড. মনিরুজ্জামানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৯ জন শিক্ষককে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। ঢাবির জগন্নাথ হলে চলে নৃশংসতম হত্যার সবচেয়ে বড় ঘটনাটি। এখানে হত্যাযজ্ঞ চলে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত।

বিশিষ্ট নজরুল গবেষক ও বাংলা একাডেমীর সাবেক পরিচালক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নীলক্ষেত আবাসনের ২৪নং বাড়িতে। ওই বাড়ির নিচে দুপায়ে গুলিবিদ্ধ দুই মা তাদের শিশু সন্তান নিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সিঁড়ি ভেসে যাচ্ছিল তাদের রক্তে। পাক হায়নাদাররা ভেবেছিল অন্য কোন দল হয়ত অপারেশন শেষ করে গেছে। তাই তারা আর ওই বাড়িতে ঢোকেনি। অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম তখন প্রাণে বেঁচে যান।

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম এই বর্ণনা দিয়ে জানান, তাদের বাড়ির নিচে আর একজন অবাঙালী অধ্যাপক থাকলেও তিনি ২৫ মার্চের আগে কাউকে না জানিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যান। শুধু তাই নয়- বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকার সব অবাঙালী পরিবার তাই করেছিলেন। এ থেকেই ধারণা করা যায়- ২৫ মার্চের এই হত্যাযজ্ঞের পূর্বাবাস অবাঙালিরা জানতো।

প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান অপারেশন সার্চ লাইট পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সকল পদক্ষেপ চূড়ান্ত করে গোপনে ঢাকা ত্যাগ করে করাচি চলে যান।

সেনা অভিযানের শুরুতেই হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের আগে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং যেকোনো মূল্যে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

বঙ্গবন্ধুর এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালী পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র লড়াই শেষে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর পূর্ণ বিজয় অর্জন করে। বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের। সূত্র: বাসস

Friday, March 22, 2013

আজ আবার সেই পথে দেখা হয়ে গেলো...

“আজ আবার সেই পথে দেখা হয়ে গেলো, 
কত সুর কত গান মনে পড়ে গেলো, 
বল, ভালো আছো তো, 
বল, ভালো আছো তো? 

ক’দিন আগে এমন হলে কতদিন আরো বেশি পেতাম, 
আরো আকাশ আরো বাতাস লিখে দিতো তোমারই নাম, 
শুধু আমি নয় ওরা সবাই ডেকে ডেকে বলে বলে যেতো- 
বল, ভালো আছো তো? 
বল, ভালো আছো তো? 

জানি তোমায় আপন ভাবার কোনো অধিকার নেই যে পাওয়ার, 
এও জানি দেখা হওয়ায় কত বড় ভাগ্য আমার, 
শুধু বল আজ আমায় ভুলে সুখি তুমি হয়েছ কত? 
বল, ভালো আছো তো? 
বল, ভালো আছো তো?”


Wednesday, March 20, 2013

রাষ্ট্রপতির মৃত্যুতে আজ সাধারণ ছুটি

রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের মৃত্যুতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোকের প্রথম দিনে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতির মৃত্যুর ঘটনায় মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বুধবার বিকেল ৪টা ৪৭ মিনিটে সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান মারা যান।

রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমানের মৃত্যু


রাষ্ট্রপতির মরদেহ বঙ্গভবনের পথে

রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমানের মরদেহ হযরত শাহজালাল রহ. আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছেছে। সেখানে কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে মরদেহ বঙ্গভবনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

বিমান বন্দরে রাষ্ট্রপতির পরিবারের সদস্যরা রয়েছেন। অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ অ্যাডভোকেট এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এর পর রাষ্ট্রপতি মরদেহ বঙ্গভবনের উদ্দেশে যাত্রা করেছে।
এর আগে রাষ্ট্রপতির মৃত্যু খবরের পরপরই গণভবনে জরুরি বৈঠক ডাকেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  বৈঠকে উপস্থিত হন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরা। পরে  ঘোষণা করা হয় রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধাঞ্জলি ও অন্যান্য কর্মসূচি। শুক্রবার দুপুর আড়াটায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে রাষ্ট্রপতির প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর দুপুর সাড়ে তিনটায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা। সেখান থেকে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের নিজ বাসভবন গুলশানের আইভি টাওয়ারে নেয়া হবে। বিকেল পাঁচটায় বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

 

একজন দেশপ্রেমিক রাজনীতিক চলে গেলেন। জাতি হারালো এক কৃতী সন্তানকে। জীবনভর যিনি দেশ ও জাতির কল্যাণের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছেন, তিনি চলে গেলেন না ফেরার দেশে।

রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমানের শেষ নিশ্বাস ত্যাগের সংবাদ শুনে শোকাচ্ছন্ন হয়েছে জাতি। সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশ সময় বুধবার বিকেল চারটা ৪৭ মিনিটে তিনি ইন্তেকাল ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।

শ্বাসকষ্টজনিত কারণে গত ৯ মার্চ রাতে রাষ্ট্রপতি ঢাকা সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক (সিএমএইচ) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।  পরে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ১০ মার্চ রাতে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়।

১১ মার্চ সকালে তাকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মোঃ জিল্লুর রহমান ১৯২৯ সালের ৯ মার্চ কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম মেহের আলী মিঞা ছিলেন প্রখ্যাত আইনজীবী ও তৎকালীন ময়মনসিংহ লোকাল বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং জেলা বোর্ডের সদস্য।
জিল্লুর রহমান ময়মনসিংহ জেলা শহরে তার শিক্ষাজীবন শুরু করেন। ১৯৪৫ সালে ভৈরব কেবি হাই স্কুল থেকে তিনি মেট্রিক, ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ থেকে আইএ এবং ১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে অনার্সসহ এমএ এবং এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন।

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক আমতলায় ১৯৫২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি এক ছাত্র সমাবেশে জনাব জিল্লুর রহমান সভাপতিত্ব করেন। সেখানেই ২১শে ফেব্রুয়ারি কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। ২০শে ফেব্রুয়ারিতে ফজলুল হক ও ঢাকা হলের পুকুর পাড়ে যে ১১ জন নেতার নেতৃত্বে ২১ ফেব্রুয়ারির ১৪৪ ধারা ভঙ্গের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, সেখানে জিল্লুর রহমান অন্যতম নেতা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। ১৯৫৩ সালে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফজলুল হক হল ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করার অপরাধে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হন এবং একই সাথে তার মাস্টার্স ডিগ্রি কেড়ে নেয়া হয়। কিন্তু প্রবল আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পুনরায় তার মাস্টার্স ডিগ্রি ফিরিয়ে দেয়।

তিনি ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন এবং তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৬ সালে তিনি কিশোরগঞ্জ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নির্বাচিত হন। ষাটের দশকে তিনি ঢাকা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

১৯৪৬ সালে ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজের ছাত্র থাকাকালে সিলেটে গণভোটের কাজ করার সময় তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সান্নিধ্যে আসেন। ১৯৬২ সালের সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন, ’৬৬-র ৬ দফা আন্দোলন, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানসহ প্রতিটি গণআন্দোলনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাশে থেকে তিনি অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭০ সালে তিনি পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য (এমএনএ) নির্বাচিত হন।

মো. জিল্লুর রহমান ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। তিনি মুজিবনগর সরকার পরিচালিত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পরিচালনা এবং জয় বাংলা পত্রিকার প্রকাশনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেই সময় দখলদার পাকিস্তান সরকার তার সংসদ সদস্য পদ বাতিল করে ২০ বছর কারাদণ্ড প্রদান ও তার সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে।

১৯৭২ সালে তিনি বাংলাদেশ গণপরিষদ সদস্য হিসেবে সংবিধান প্রণয়নে অংশ নেন। ১৯৭৩ ও ১৯৮৬ সালে তিনি জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে ৭ম জাতীয় সংসদে তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে ২০০১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। পাশাপাশি তিনি মহান জাতীয় সংসদের উপনেতা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালে ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি দেশে জরুরি আইন জারির পর ওই বছরের ১৬ জুলাই রাতে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা গ্রেফতার হলে তিনি অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে দল পরিচালনা করেন। দীর্ঘ ১১ মাস শেখ হাসিনার জেলজীবন এবং চিকিৎসার জন্য আরো প্রায় ছয় মাস দেশের বাইরে অবস্থানকালে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জিল্লুর রহমান দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখেন এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল অবদান রাখেন এবং ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অবিস্মরণীয় বিজয় লাভ করে। এই নির্বাচনে তিনি ষষ্ঠ বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পূর্ব পর্যন্ত তিনি নবম জাতীয় সংসদের সংসদ উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং জনাব জিল্লুর রহমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৮৪ সালে তিনি পুনরায় দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের প্রথম সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার পর প্রায় চার বছর মোঃ জিল্লুর রহমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের সদস্য হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৬ সালে সংসদ সদস্য থাকাকালে মোঃ জিল্লুর রহমান আবারো কারাবরণ করেন। ১৯৯২ এবং ১৯৯৭ সালে দলীয় কাউন্সিলে জিল্লুর রহমান পর পর দুইবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন।

জিল্লুর রহমানের সহধর্মিনী বিশিষ্ট নারী নেত্রী বেগম আইভী রহমান ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউর নারকীয় গ্রেনেড হামলায় মারাত্মক আহত হয়ে দু’দিন পর মৃত্যুবরণ করেন। বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভানেত্রী এবং জাতীয় মহিলা সংস্থার সাবেক চেয়ারপারসন আইভি রহমান গ্রেনেড হামলায় মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।
জিল্লুর রহমান ছিলেন এক পুত্র এবং দুই কন্যার জনক।



শুক্রবার বাদ জুমা জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে নামাজে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানকে  রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে।

বুধবার রাতে আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পদক মৃণাল কান্তি দাস স্বক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকভাবে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির মরদেহ গ্রহণ করা হবে। সেখান থেকে বেলা সাড়ে ১২টায় শোভাযাত্রাসহ মরদেহ নেয়া হবে বঙ্গভবনে। সেখানে দুপুর দেড়টার সময় মরদেহ সামনে রেখে রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার দেয়া হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে দুইটা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত বঙ্গভবনে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার সদস্য, সাবেক রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি ও বিচারপতি, সংসদ সদস্য, ডিন অব ডিপ্লোমেটিক কোর ও কূটনীতিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, মুক্তিযোদ্ধা, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন শ্রেণীপেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা শ্রদ্ধা জানাবেন। বিকেল তিনটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত আত্মীয়-স্বজন এবং সর্বসাধারণ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।

পরে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় রাষ্ট্রপতির মরদেহ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেয়া হবে। সেখানে জানাজা পর্যন্ত তার মরদেহ সংরক্ষণ করা হবে।

পরদিন শুক্রবার বাদ জুমা জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে রাষ্ট্রপতির জানাজা সম্পন্ন হবে। এরপর বেলা সাড়ে তিনটায় বনানী কবরস্থানে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে।


 
রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমানের মৃত্যুতে আগামী তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী (মিডিয়া) মাহবুবুল হক শাকিল নতুন বার্তা ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশ সময় বুধবার বিকেল চারটা ৪৭ মিনিটে রাষ্ট্রপতি ইন্তেকাল করেন।

প্রিয় আনিস ভাই

হারিয়ে যাওয়া তুলির আঁচড়
হারিয়ে যাওয়া কন্ঠস্বর
কেউ জানেনা তাহার খবর
সে যে এখন মাটির কবর

আমার আছে জল (বাংলা গান)


মানুষ জাগবে ফের/আনিসুল হক

মানুষ জাগবে ফের
আনিসুল হক

হে তরুণ হে যুবক
হে শ্রমিক হে কৃষক
মেনো না হতাশা
আবার আসবে দিন সূর্যিত আলোর
আবার আসবে দিন সমূহ উজ্জ্বল
মানুষ জাগবে ফের, জাগবে মানুষ।

নিদারুণ দুঃসময়ে আমাদের অধিবাস আজ
নির্দয় সূর্যের তাপে ফেটে যায় মাটি ও মনন
কামরুলী জানোয়ার দাঁতে ঘষে দাঁত
জয়নুলের কাকেরা করে কা-কা স্বদেশ ভাগাড়ে
কাক ও কুকুর ছাড়া আর কোন প্রাণী যেন নেই
হতাশা ও ধোঁয়া ছাড়া আর কোন দৃশ্যকল্প নেই
মানুষ নিরাশ আজ মানুষের আস্থা নেই অন্নদাত্রী মৃত্তিকার প্রতি।
চারিদিকে অন্ধকার ছিদ্রহীন শেষহীন অদ্ভুত আধাঁর
বিলাপ ও আর্তনাদ ছাড়া কোন উচ্চারণ নেই
আপোষ ও বেঈমানী ছাড়া আর কোন রাজনীতি নেই
উৎকোচ ও দুর্নীতি ছাড়া কোন কারবার নেই
সামরিক উর্দি ছাড়া আর কোন ভগবান নেই।
মানুষ ঘুমিয়ে সব বেঘোরে অঘোরে যেন অনন্ত শয়নে।
তথাপি হে সাথী
হে কৃষক ক্ষেতের মজুর
ছাত্র বন্ধু
শ্রমজীবী মৌলিক মানুষ
হে কামার হে কুমোর জেলে তাঁতী মাঝি-মাল্লা কুলি
একবার প্রাণ খুলে কান পেতে ধরো
একবার অন্তর্দৃষ্টি মেলে ধরে দ্যাখো
মানুষ কি জানে নাই তুফানের প্রচন্ড গতিতে
জীবন কি জাগে নাই মরণের আবরণ ভেঙে
জীবন কি জানে নাই বারুদের বিস্ফোরণ ঠেলে?
বাহান্নোয় একদিন জেগেছিল সব
আবার আসেনি কি মহাজাগরণ
সুমহান একাত্তরে?
বেহেশ্ত হতে নয়
মানুষের মাঝ থেকে

মানবিক কন্ঠ কি গর্জে ওঠে নাই
‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’

কলিমুদ্দিন শেখ মুই, অমপুরে আবাস হামার
বিশ্বাস কি অয় বাহে এই মুই যুদ্ধে গেছিলাম
মুইতো একেলা নও অনেকেই আছিল সাথোত
লাঙ্গল ফেলিয়ে বাহে এই হাতে অস্ত্র নিছিলাম।
সময় দিয়াছে ডাক হামার কি সাধ্য বসি থাকিবো ঘরোত
ঘরের বাহির হয়া ঝাঁপ দিই আকুল গাঙ্গেতে
চোখে মোর এক ছবি সামনের তীরেতে নতুন
জীবনতো আছে এক, সোনার খাঁচায় নয়,
ক্যামন স্বাধীন এক নতুন জীবন,
আকুল বানের তোড়ে ভাসি ভাসি যুদ্ধে চলি যাই
হামার দ্যাশের লাগি কলিম কিষাণ মুই যুদ্ধে চলি যাই
মরণের ভয়ডর ফেলি মুই যুদ্ধে চলি যাই
দু’মুঠা ভাতের লাগি যুদ্ধে চলি যাই।
দারুণ মিছিল আসে মানুষের মুক্তির মিছিল
আসে চাষা আসে চাষী অস্ত্র তুলে নেয়
আসে ছাত্র আসে যুবা অগ্নি জ্বেলে দেয়
আসে মাতা আসে বধু দাহ তেলে দেয়।

মানুষের উদ্বোধনে অবিশ্বাসী হয়ো না মানুষ
মানুষের উজ্জীবনে আস্থাহীন হয়ো না সারথী
আবার আসবে সেই সময়ের বাঁক
আবার আসবে সেই জাগরণী ধবল প্রহর
ইতিহাসের প্রগতি রুদ্ধ করে শক্তি আছে কার
মানুষের অগ্রযাত্রা বন্ধ করে শক্তি আছে কার।
মানুষ জাগবে ঠিক
পুনরায় জাগবে মানুষ।

Tuesday, March 19, 2013

Welcome to Bangaliana

http://www.bangaliana.in/

Welcome to Bangaliana


We are the Bengalis. So naturally, Bengali literature, bengali culture, bengali festival, bengali recipe attract us much.This site is for all Bengalis to promote our Bangaliana. Come forward and participate in our site. Its a platform to show your hidden talent. You can post Bengali Poem, all types of Bengali Song, Recitation, Dram, Jokes, Comics etc.
We have provided a Forum for Bengalies to discuss Bengali Culture, Custom and various issues related to Bengal and Bengalies. But no political discussion will be allowed.

একটি জিলাপির প্যাঁচ টাইপের গল্পের শুরু হল যেভাবে

একটি জিলাপির প্যাঁচ টাইপের গল্পের শুরু হল যেভাবে

অফিসের বস সেক্রেটারি স্বর্ণাকে ডেকে বলল,
আমি ১ সপ্তাহের জন্য অফিস ট্যুরে সিংগাপুর যাচ্ছি। ঠিক করেছি তোমাকেও সাথে নিয়ে যাব... !! Lets enjoy... :)
স্বর্ণা তার স্বামী রোমেলকে ফোনে বলল,
রোমেল আমি ১ সপ্তাহের জন্য অফিসের কাজে সিংগাপুর যাব, তুমি ভাল ভাবে থেকো!
রোমেল তার গার্লফ্রেন্ড রিয়াকে ফোন করে বলল,
আমার স্ত্রী দেশের বাহিরে যাচ্ছে, বাসা খালি... তুমি এক সপ্তাহের জন্য চলে এসো.... !! Lets enjoy... :)
রিয়া তার ছাত্র পার্থকে ফোন করে বলল,
আমি এক সপ্তাহ busy থাকব, তোমার এই সপ্তাহ ছুটি। তুমি Enjoy কর !! :)
পার্থ তার বাবাকে ফোন করে বলল,
বাবা ! কাল থেকে আমার প্রাইভেট সাতদিনের জন্য বন্ধ। তুমি এই সাতদিন কোথাও যেতে পারবেনা... তোমার সাথে অনেক মজা করব !!
Lets enjoy... :)
ছেলের ফোন পেয়ে বাবা অফিসের সেক্রেটারিকে বলল,
স্বর্ণা, আমার আরো একটি Important কাজ এসেছে, এই সপ্তাহে সিংগাপুর যাওয়া হবে না। Tour cancel... !!
স্বর্ণা তার স্বামী রোমেলকে ফোনে তখনইবলল,
আমি কোথাও যাচ্ছি না। Tour cancel হয়েছে। তোমার আর একা একা থাকতে হবে না।
Lets enjoy... :)
রোমেল তার গার্লফ্রেন্ড রিয়াকে সঙ্গে সঙ্গে ফোন করে বলল,
এই শুনো, আমার স্ত্রী কোথাও যাচ্ছে না তাই তোমার আর কষ্ট করে আসতে হবে না !!
তাই শুনে রিয়া তার ছাত্র পার্থকে ফোন করে বলল,
আমার যেই কাজ ছিল সেটা আর করতে হচ্ছে না, তাই তুমি কাল সকাল থেকে যথারীতি পড়তে আসবে !!
পার্থ তৎক্ষনাৎ তার বাবাকে ফোন করে বলল,
বাবা আমি এই সপ্তাহে আর ফ্রি হতে পারলাম না !
কারণ প্রাইভেট ম্যাডাম যেতে বলেছে। সামনে পরীক্ষা, অনেক পড়তে হবে !!
সাথে সাথে পার্থর বাবা স্বর্ণাকে ফোন করে বলল,
আমার যে অন্য Important কাজ ছিল সেটা তোমার জন্য cancel করেছি, চল কাল সিংগাপুর যাব !
আজই প্রস্তুত হয়ে নাও ! Lets enjoy... :)
আর এভাবেই তারা Enjoy এর মাধ্যমে বসবাস করিতে থাকিলো !!

Courtesy- Zaki Aref Ahamed

Monday, March 18, 2013

বন্ধ হওয়া বা ব্লক সাইট দেখুন বিকল্প উপায়ে

ব্লক করা ওয়েবসাইট দেখার জন্য যে ওয়েবসাইট ব্যবহার করা হয় তাকে প্রক্সি সাইট বলা হয়। এই প্রক্সি সাইট দিয়ে ব্লক করা বা নিষিদ্ধ সব সাইটে সহজেই প্রবেশ করা যায়। ইন্টারনেটে এরকম শত শত প্রক্সি সাইট রয়েছে, যা দিয়ে ডোমেইনের মাধ্যমে ব্লক করা সাইট দেখা যায় সহজেই। এই প্রক্সি সাইটগুলোর মধ্যে http://www.freeproxy.net হলো পৃথিবীর প্রথম ১০টি র্যাঙ্কড প্রক্সি ওয়েবসাইটের মধ্যে একটি। ইন্টারনেট ব্রাউজারে http://www.freeproxy.net লিখে এন্টার করার পর ঠিক মাঝামাঝি স্থানে একটি সার্চ করার জায়গা দেখা যাবে, সেখানে ব্লগ করা ওয়েবসাইটটির ঠিকানা লিখে সার্চ দিলেই সাইটটি দেখা যাবে। এ রকম আরও কিছু সাইটের ঠিকানা হলো :
http://www.zendproxy.com
http://www.pagewash.com
http://www.hidemyass.com
http://www.proxybrowsing.com
http://www.proxsafe.net
http://www.boomproxy.com
http://www.zfreez.com
http://www.proxy-server.at
http://www.newipnow.com
http://www.hidemehere.com
http://www.zend2.com
হটস্পটশিল্ডের সাহায্যে সাইট দেখা
এর জন্য http://www.hotspotshield.com থেকে ৬ মেগাবাইটের মতো এই সফটওয়্যারটি বিনামূল্যে ডাউনলোড করে ইনস্টল করতে হবে। সফটওয়্যারটি উইন্ডোজের সব সংস্করণ এবং ম্যাক অপারেটিং সিস্টেম সমর্থন করে। ইনস্টল করার পরে সিস্টেমট্রেতে লাল রঙের আইকন দেখা যাবে। এই আইকনে ক্লিক করে Connect/On-এ ক্লিক করলে ওয়েব ব্রাউজারে নতুন একটি পেজ খুলবে এবং হটস্পটশিল্ড সার্ভারের সঙ্গে কানেক্ট হবে এবং কিছুক্ষণ পরে Connected লেখা আসবে ও সিস্টেমট্রের আইকনটির রঙ সবুজ হবে। এখন যে কোনো ব্লক করা সাইট দেখা যাবে। পরে মূল আইপিতে ফিরে আসতে বা নতুন আইপি পেতে ডিসকানেক্ট করতে চাইলে ওই সবুজ আইকনে ক্লিক করে Disconnect/OFF-এ ক্লিক করলেই হবে।
প্রোএক্সপিএন দ্বারা আইপি হাইড করে সাইট দেখা
প্রোএক্সপিএনসফটওয়্যারটি ব্যবহারের জন্য http://www.proxpn.com থেকে ডাউনলোড করে ইনস্টল করুন। এখন প্রোএক্সপিএন সফটওয়্যারটিতে ইউজার (ইমেইল) পাসওয়ার্ড দিয়ে Connect বাটনে ক্লিক করুন তাহলে ভিপিএন চালু হবে এবং নতুন আইপি পাবে, যা সিস্টেমট্রেতে দেখা যাবে।
অ্যাকাউন্ট না থাকলে Create an account বাটনে ক্লিক করে রেজিস্ট্রেশন করে নিন। আর এই ইউজার পাসওয়ার্ড স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেভ হবে, ফলে পরে ইউজার পাসওয়ার্ড দিতে হবে না। এখন যে কোনো ব্লক করা সাইট দেখা যাবে।
ডিসকানেক্ট করতে চাইলে সিস্টেম ট্রেতে মাউসের ডান বাটনে ক্লিক করতে পারবেন। হটস্পটশিল্ড এবং প্রোএক্সপিএনের মতো আরও কিছু ভিপিএন
http://www.ultrasurf.us,
http://www.privitize.com
http://www.vpnbook.com
টর ব্রাউজারের সাহায্যে সাইট দেখা
টর ব্রাউজার বহনযোগ্য বলে ইনস্টল না করে বা ফ্লাশ ডিক্স থেকে সরাসরি চালানো যায়। টর প্রজেক্টের ভেতরে মজিলা ফায়ারফক্সের বহনযোগ্য সংস্করণ থাকায় কম্পিউটারে ইনস্টল থাকা ব্রাউজার ব্যবহারের প্রয়োজন পরে না।
এর জন্য প্রথমে ফ্রি এবং বহনযোগ্য টর ব্রাউজার http://www.torproject.org থেকে ডাউনলোড করুন।
এবার আনজিপ করে Start Tor Browser চালু করুন। তাহলে Vidalia Control Panel টর সার্ভারের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করবে। সংযোগ স্থাপন হলে বহনযোগ্য মজিলা ফায়ারফক্সটি (টর ব্রাউজার) সক্রিয় অবস্থায় চালু হবে। ফলে Congratulations. You are using Tor. মেসেজ-সম্বলিত টর প্রজেক্টের চেক পেজ আসবে ও একটি আইপি দেয়া হবে।
এখন এই বহনযোগ্য মজিলা ফায়ারফক্সের মাধ্যমে যে কোনো বন্ধ বা ব্লক থাকা ওয়েবসাইট ব্রাউজ করা যাবে।

Sunday, March 17, 2013

ঘুরে এলাম যশোর, পর্ব- ১

১০ মার্চ ২০১৩ অফিসিয়াল ট্যুর। সঙ্গে আছেন এফপিএবি’র মহাসচিব জনাব নাসির আহমেদ বাবুল এবং উপ-পরিচালক জনাব আব্বাছ উদ্দিন। এফপিএবি’র প্রেসিডেন্ট অধ্যাপিকা খালেদা খানম ও তাঁর পিএস মিস মুনাজ সুলতানাও যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ম্যাডামের আম্মা অসুস্থ থাকায় তিনি পরদিন প্লেনে যাবেন। আমরা দুপুরের পর রওয়ানা করে রাত ৮ঃ৩০টায় যশোর পৌঁছাই। সকাল বেলা প্রেসিডেন্ট যশোর পৌঁছার পর এসআরএইচআর এডুকেশন (দোয়েল) ক্যাম্পেইন প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে সিভিল সার্জন, ডিডি-ফ্যামিলি প্ল্যানিং সহ বিভিন্ন সরকারী কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি, ইমাম, কাজী, স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষক, কিশোর-কিশোরী এবং এফপিএবি’র সম্মানিত ভলান্টিয়ার ও শাখা কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। যৌন-প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার বিষয়ক এই প্রকল্পে সাথে একযোগে কাজ করার ব্যাপারে একমত হন। উপস্থিত সকলকে লাঞ্চের আমন্ত্রণ জানানোর মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষ হয়। তারপর শাখা নির্বাহী পরিষদের মিটিং হয়। এরপর পড়ন্ত বিকালে তারারমেলা’র আয়োজনে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। প্রেসিডেন্ট ম্যাডাম ঢাকার উদ্দেশ্যে এয়ারপোর্ট যাওয়ার কিছুক্ষ্ণ পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়। এভাবে শেষ হয় সারাদিনের অনুষ্ঠান। পরদিন ১৮ দলীয় জোটের হরতাল থাকায় আমি রাতেই ঢাকার উদ্দেশ্যে গাড়ীতে উঠি। ফেরিঘাটের বিশাল জ্যাম ঠেলে সকাল বেলা ঢাকায় পৌঁছাই। আসার পথে আমান নামের যশোর এমএম কলেজের এক ছাত্র আসে। সে পুলিশের এসআই’র ভাইভা দিতে ঢাকায় আসে।

পুলিশের সাম্প্রতিক ক্ষমতায়ন, গণতন্ত্র ও সহিংসতাঃ বাংলাদেশ

ঘটনাঃ একটি হরতাল বা সংঘর্ষের সময় সরকার পক্ষের একজন হরতাল ঠেকাতে বা বিরোধী পক্ষকে দমনে পুলিশকে সহযোগিতা করতে ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু ঘটনার ভয়াবহতার সময় কে কোন পক্ষের তা নির্ণয় করা অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে সরকার পক্ষের একজন গিয়ে সরকার বিরোধী এক পুলিশের হাতে পড়ে, তখন ঐ পুলিশ সুযোগ বুঝে সরকার পক্ষের কর্মীকে বিরোধী কর্মী বলে গুলি করে দেয়। প্রমাণের কোন সুযোগ নাই। আর প্রকৃত বিরোধী কর্মী হলে তো কথাই নেই। গুলি করছে পুলিশ/দুর্বৃত্ত। সুযোগটা প্রতিপক্ষও অনেক সময় কাজে লাগায়। যদি রাজনীতির জন্য লাশের প্রয়োজন হয়।
পুলিশের সাম্প্রতিক এমন ক্ষমতায়ন ভবিষ্যতে কারো জন্য সুখ বয়ে আনবে না। হত্যাকাণ্ড বন্ধ না হলে দেশ গৃহযুদ্ধের দিকে যাবে। অপরদিকে সরকার ও প্রশাসন জামায়াত-শিবিরের নৈরাজ্যকে যথাযথভাবে সামাল দিতে পারেনি। প্রথম দিকে জামায়াতকে মিছিল-সমাবেশ করতে না দেওয়া, পরে আবার জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের হামলার মুখে পুলিশের রহস্যজনক শিথিলতা প্রদর্শন-বিষয়গুলো বিজ্ঞতা ও কর্মকুশলতার পরিচয় বহন করে না। বর্তমানে সৃষ্টি হয়েছে এক ভয়াবহ সাংঘর্ষিক পরিস্থিতির। এই সাংঘর্ষিক পরিস্থিতিতে যেকোনো সাধারণ ও সচেতন নাগরিক উৎকণ্ঠিত না হয়ে পারে না।
আবেগ, অনুভূতি, দাবি-দাওয়া প্রত্যাশার একটি যোগ হচ্ছে আন্দোলন। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় আন্দোলন-সংগ্রামে মানুষের আবেগ-অনুভূতির প্রকাশ ঘটে। সরকার জনগণের আবেগের মূল্য দেবে, কিন্তু তাকে চলতে হয় সাংবিধানিক বিধিবিধান ও আইনের পথে। কোনো রাষ্ট্রের তারাই দক্ষ প্রশাসক ও নীতিনির্ধারক, যারা প্রচলিত আইনকানুন ও জনগণের চাওয়া-পাওয়ার সমন্বয় করে সিদ্ধান্ত নেন এবং দ্রুত সমাধান করেন। দেশের স্থিতিশীলতা, শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে কাঙ্ক্ষিত ভূমিকা পালন করেন। নেতাদের ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের কাছ থেকে সংযত বক্তব্য প্রত্যাশিত।
অব্যাহত সহিংসতায় দেশের গণতন্ত্র যখন বিপন্ন হওয়ার পথে, রাজনীতিক নেতাদের প্রতি আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে-এমন পরিস্থিতিতে প্রয়োজন সঠিক সিদ্ধান্ত ও যথাযথ পদক্ষেপের। সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একটি সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করে সংলাপের উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি থেকে দেশকে সকলের জন্য নিরাপদ করে তোলার সঠিক কাজটিই সাধারণ মানুষ দেখতে চায়।
আন্তর্জাতিক মহল থেকেও সহিংসতার ইস্যুতে বক্তব্য আসতে শুরু করেছে। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন, আমেরিকার পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র প্যাট্রিক ভেনট্রেল, নিউ ইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামসের বিবৃতির সারকথা হচ্ছে: উত্তপ্ত পরিস্থিতি শান্ত করার উদ্দেশে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তাণ্ডব বন্ধ করতে এবং আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার আহ্বান এবং একইসঙ্গে সহিংসতা চলাকালীন নিজেদের বা অন্যের জীবন রক্ষা করা ছাড়া প্রাণঘাতি পদক্ষেপ নেবার বিষয়ে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম সিএনএন ভারতীয় রাজনৈতিক আইএইচএস এক্সক্লুসিভ এনালাইসিস-এর উপপ্রধান রমেন বোসের মতামত তুলে ধরে বলেছে, স্থিতিশীলতার ঝুঁকিতে পড়তে পারে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক মহলের এ ধরনের মন্তব্যও আমাদের জন্য ইতিবাচক কোনো কিছুর ইঙ্গিত দেয় না নিশ্চয়ই!
নজীরবিহীন সহিংসতা অব্যাহত হলে তা শেষ পর্যন্ত জামায়াতের ‘গৃহযুদ্ধের হুমকি’ বাস্তবায়নের কাজটি বহুলাংশে এগিয়ে নেবে, দেশের পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়বে; এবং এর পরিণতিতে অগণতান্ত্রিক কোনো শক্তির আবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় জগদ্দল পাথরের মতো জেঁকে বসার পরিস্থিতি তৈরি করবে বলে অনেকের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে ক্ষমতার মেয়াদ দীর্ঘায়িত করতে সরকারের টার্গেট হোক অথবা যুদ্ধাপরাধের বিচার ঠেকাতে জামায়াত-শিবিরের মরণকামড়, যাই হোক না কেন; দেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা রক্ষা ও গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখার বিষয়টিকেই সকলে অগ্রাধিকার দেবেন- সচেতন নাগরিকের এটুকু প্রত্যাশা করা কি অত্যুক্তি হবে?