Pages

Monday, August 19, 2013

মৃন্ময় মিজান ফেইসবুক স্টেটাস

একটি আবৃত্তি সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকার কারণে নিয়মিতই নতুন নতুন ছেলে মেয়ের সাথে আমার পরিচয় ঘটে। তাদের অনেকের সাথে আমার বেশ ভাল সম্পর্ক তৈরি হয়। অনেকেই তাদের বাসায় আমাদের সংগঠন সম্পর্কে,আমার সম্পর্কে জানায়।

মাঝে মাঝে কারো কারো বাবা-মা আমাকে ফোন করে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলে। একবার একজন বেশ অসুস্থ হয়ে পড়লে তার চিকিৎসা এবং থাকার ব্যাপারে আমি এবং আমাদের সংগঠন বেশ যত্নের সাথে কিছুদিন কাজ করেছিলাম। তার বাবা আমাকে ফোন করে বলেছিল, বাবা হিসেবে তার যেটা করার কথা ছিল সে কাজটা আমি করেছি। আমাকে, আমাদের সবাইকে তিনি ধন্যবাদ জানান। কিছুদিন পর সেই সদস্য একটা মারাত্মক ভুলের সাথে নিজেকে জড়িয়ে নেয়। আমরা তাকে, তার ফ্যামিলিকে সে ব্যাপারে সাবধান করলেও তারা আর আমাদেরকে তাদের হিতাকাংখী মনে করেননি। সেটা আদৌ ভুল কিনা সেটাও অবশ্য তদন্ত সাপেক্ষ।

Monday, August 12, 2013

ফেলে আসা শৈশব...


ফেলে আসা শৈশব...

১০ আগস্ট ২০১৩। ঈদের পরদিন। ফিরে গেলাম সেই শৈশবে। আজ থেকে দুই যুগ আগে। কত স্মৃতি, কত দুষ্টমি ভরা দিনগুলো। একটু-আধটু খুনসুটিও হতো মাঝে মাঝে, সেই দুরন্ত শৈশব। আমার ছেলেবেলা। ঝোপে-ঝাড়ে, গাছের ডালে পাখির বাসা খোঁজার নৈঃশব্দময় সময়গুলো। সূর্য মাথায় নিয়ে পুকুরের পানিতে ডুবোডুবি, সেই রক্তচক্ষু করা দুপুরগুলো। রাতদুপুরে হোস্টেলে ক্যারাম খেলা আর সকালবেলা ধরা পড়ে আনিস স্যারের কান মলা (মোরগের সেলাই) খাওয়ার মুহূর্তগুলো। আজ কত পেছনে ফেলে আসা। সেই পুরনো পথে যাওয়া হয়, পুরনো দিনে আর ফিরে যাওয়ার উপায়হীন বর্তমান। মন থেকে হুহু করে দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে যায়।

Saturday, April 13, 2013

বীচিওয়ালা বেগুনের চুলকানী

গোলাম মওলা রনি :

বীচি শব্দটি নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা ভালো না। গ্রাম গঞ্জে দেখেছি পুরুষ মানুষেরা বীচি শব্দ শুনলে রাগ করেন। এক বয়স্ক মহিলার নিকট এক যুবক এসে বললো ও ভাবী সিমের বীচি আছে? শুনেই মহিলা ঝাড়– নিয়ে তেড়ে এলেন। শৈশবে দেখা এসব স্মৃতি এখনো মনে পড়ে, মজা পাই। কিন্তু কেনো পাই তা জানি না।


সম্প্রতি ফেইসবুকের একটি কমেন্ট নিয়ে জনৈক তরুণ বন্ধু আমার উদ্দেশ্যে বললেন, মনে হয় ইদানিং আপনি বেশী বেশী বীচিওয়ালা বেগুন খাচ্ছেন, তাই সারা শরীর বড্ড চুলকাচ্ছে! সর্বনাশ! ঘরে কথা পরে জানলো ক্যামনে! আমি যে জন্ম থেকেই বেগুন ভালবাসি এবং হয়তো একারণে আমার শরীর একটু এলার্জির ভাব আছে। তা বন্ধুটি জানলেন ক্যামনে? শ্রদ্ধা ও ভক্তিতে আমার দেহ মন বন্ধুটির পানে এমন ভাবে নতজানু হলো যেমনটি বাম ঘরনোর রাজনীতিবীদগণ সরকারের দিকে ঝুঁকেছে।

কণ্ঠ সুস্থ রাখবেন কিভাবে

কণ্ঠ সুস্থ রাখবেন কিভাবে
অধ্যাপক ডাঃ এম আলমগীর চৌধুরী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, ইএনটি আনোয়ার খান মর্ডাণ মেডিক্যাল কলেজ, ধানমন্ডি, ঢাকা
প্রতি বত্সর ১৬ এপ্রিল বিশ্ব কণ্ঠ দিবস পালন করা হয়। বিগত ছয় বত্সর ধরে ২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশে বিশ্ব কণ্ঠ দিবস উদযাপন করা হয়। অ্যামেরিকান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডেফনেস এন্ড কমিউনিকেশনের সূত্র মতে ৭.৫ মিলিয়ন সব বয়সের জনগণ কোন না কোন কণ্ঠস্বর জনিত সমস্যায় ভুগছে। আমরা কণ্ঠস্বর সম্পর্কে সচেতন নই এবং ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে চিকিত্সকের শরণাপন্ন হই। পারস্পারিক যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম হলো কণ্ঠ বা কথা বলা। বিশ্ব কণ্ঠ দিবসের উদ্দেশ্য হচ্ছে কণ্ঠ ও কণ্ঠনালীর সমস্যা এবং সেই সাথে কিভাবে কণ্ঠকে সুস্থ রাখা যায় ও তার প্রতিকার সম্পর্কে জনগণকে জানানো। বিশ্ব কণ্ঠ দিবস এবছরের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে 'Connect with your voice'।

কণ্ঠনালীর সমস্যার কারণ সমূহ

কণ্ঠনালীর সমস্যার জন্য উপসর্গগুলো হলো গলা ব্যথা, কণ্ঠস্বর পরিবর্তন, কাশি, কিছু গিলতে অসুবিধা, শ্বাসকষ্ঠ ইত্যাদি। যদি ঘন ঘন কণ্ঠস্বও পরিবর্তন হয় বা দীর্ঘ দিন বা দুই সপ্তাহে ভাল না হয়, তবে নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ দেখাতে হবে। বিভিন্ন কারণে কণ্ঠস্বরের পরিবর্তন হতে পারে।

কণ্ঠনালীর প্রদাহ

কণ্ঠনালীর প্রদাহ দু'ধরনের যেমন- তীব্র ও দীর্ঘ মেয়াদী ল্যারিনজাইটিস। কণ্ঠস্বর পরিবর্তনের প্রধান কারণ হলো কণ্ঠনালীর ভাইরাস জনিত তীব্র প্রদাহ। শ্বাসনালীর ভাইরাস প্রদাহে কণ্ঠনালী ফুলে যায় যাতে কণ্ঠনালীর কম্পনের সমস্যা সৃষ্টি করে, ফলে স্বর পরিবর্তন হয়। আবহাওয়া পরিবর্তন, পরিবেশ দূষণের কারণেও কণ্ঠনালীর প্রদাহ বা ল্যারিনজাইটিস হতে পারে। প্রচুর পরিমাণ পানি পান করলে এবং কণ্ঠনালীকে বিশ্রাম দিলে এই রোগটি ভাল হয়ে যায়। তীব্র প্রদাহ অবস্থায় যদি কেউ জোরে কথা বলে তা কণ্ঠনালীর উপর চাপ সৃষ্টি করে। যেহেতু তীব্র কণ্ঠনালীর প্রদাহ ভাইরাস জনিত সেহেতু এরোগে এন্টিবায়োটিক লাগে না। যদি ব্যাকটেরিয়া জনিত কণ্ঠনালীর ইনফেকশন হয় এবং এর সাথে শ্বাস কষ্ট হয় তখন বিশেষ চিকিত্সার প্রয়োজন হয় এবং পূর্ণমাত্রায় সঠিক এন্টিবায়োটিক লাগে। তীব্র কণ্ঠনালীর ভাইরাস জনিত প্রদাহ ঠিকমত চিকিত্সা না করা হলে, দীর্ঘ মেয়াদী ল্যারিনজাইটিস হতে পারে। পাকস্থলীর এসিড রিফ্লাক্সের জন্য দীর্ঘ মেয়াদী কণ্ঠনালীর প্রদাহ হতে পারে। ধূমপান, অতিরিক্ত গরম চা বা পানীয় পান করলে, হাঁপানীর জন্য ইনহেলার ব্যবহার বা যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের দীর্ঘ মেয়াদী ল্যারিনজাইটিস হতে পারে।

কণ্ঠস্বরের অতি ব্যবহার

আমরা যখন কথা বলি, কণ্ঠনালীর সাথে আশে পাশে অবস্থিত মাংসপেশীরও সাহায্য লাগে। কণ্ঠনালীকে সঠিক ও নিয়মের বাইরে ব্যবহার করা, অতি উচ্চস্বরে অতিরিক্ত কথা বলা, দীর্ঘ মেয়াদী বা পরিবর্তিত স্বরে কথা বললে কণ্ঠনালীর প্রদাহ দেখা দিতে পারে। যা ভারী জিনিসকে ঠিকভাবে না উঠানোর জন্য পিঠে ব্যথা হওয়ার সমতুল্য। গলা ও শব্দযন্ত্রের মাংসপেশীর সংকোচন এবং কথা বলার সময় ঠিক ভাবে শ্বাস না নিলে শ্বাসযন্ত্রের অবসাদ হয়, কথা বলতে কষ্ট হয় এবং ফলশ্রুতিতে কণ্ঠস্বর পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে এবং ভোকাল কর্ডে পলিপ বা নডিউল এমনকি রক্ত ক্ষরণও হতে পারে।

ভোকাল কর্ড অপব্যবহারের কারণ সমূহ

অধিক জন সমাবেশে, কোলাহল পূর্ণ পরিবেশে জোরে কথা বলা। অতিরিক্ত এবং দীর্ঘ সময় ফোনে কথা বলা। ঘাড় ও কানের মাঝে ফোন চেপে ধরে কথা বলায় ঘাড় ও শব্দযন্ত্রের মাংসপেশীতে টান লাগে। উচ্চস্বরে বা চিত্কার করে কথা বলা।জনসমাবেশে বা বড় লেকচার গ্যালারীতে মাইক ছাড়াই জোরে কথা বলা।

কম ক্ষতিকারক কণ্ঠনালীর

রোগ সমূহ

বার বার অথবা দীর্ঘ মেয়াদী কণ্ঠনালীর অপব্যবহারে যে ক্ষতি হয় পরবর্তিতে তা কণ্ঠনালীর কম্পনের মাত্রার উপর প্রভাব ফেলে এবং কণ্ঠনালীতে পলিপ, নডিউল বা সিস্ট হতে পারে। নডিউল সাধারণত কণ্ঠ শিল্পীদের মধ্যে বেশী হয়। রাজনীতিবীদ, শিক্ষক, আইনজীবি, অধিক সন্তানের জননী, মসজিদের ইমাম, হকারদের মধ্যে এসব রোগ হতে পারে। চিকিত্সা হলো অপারেশন যেমন মাইক্রোলেরিংগোসকপি এবং

ভয়েস থেরাপী।

ভোকাল কর্ড প্যারালাইসিস

বা দূর্বলতা

ভোকাল কর্ড বা ল্যারিংসের নার্ভের দুর্বলতা বা কোন সমস্যার জন্য কণ্ঠনালীর পরিবর্তন হতে পারে। ভাইরাস জনিত প্রদাহের জন্য নার্ভের দুর্বলতা হয়। সাধারণত এক দিকের নার্ভ-ই প্যারালাইসিস হয়, দু'দিকের নার্ভ একই সাথে আক্রান্ত হওয়া খুবই বিরল। এক দিকের নার্ভ প্যারালাইসিসের কারণ হচ্ছে ভাইরাল ইনফেকশন, টিউমার, ক্যান্সার ও থাইরয়েড অপারেশন। কণ্ঠনালীর প্যারালাইসিসের জন্য ফেঁসফেঁসে আওয়াজ হয় এবং এটি নিঃশ্বাসের সাথে জড়িত। কয়েক মাসের মধ্যে একদিকের প্যারালাইসিস ভাল হয়ে যায়। কোন কোন ক্ষেত্রে ভোকাল কর্ড প্যারালাইসিস ভালো হয় না, তখন চিকিত্সা প্রয়োজন হয়।

কণ্ঠনালীর ক্যান্সার

আমাদের দেশে গলার ক্যান্সার বা কণ্ঠনালীর ক্যান্সারের প্রকোপ অনেক বেশি। গলার স্বর পরিবর্তনের পনের দিনের মধ্যে ভালো না হলে,

চিকিত্সকের পরামর্শ নেয়া দরকার। রোগীর ইতিহাস, প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার নির্ণয় করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গলার ক্যান্সার বা কণ্ঠনালীর ক্যান্সারকে মোটেও অবহেলা করা উচিত নয়। কারণ কণ্ঠনালীর ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে নির্ণয় করে চিকিত্সা করলে সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যায় এবং এ রোগের সব ধরণের চিকিত্সা যেমন- সার্জারী, কেমোথেরাপী ও রেডিওথেরাপী আমাদের দেশে বিদ্যমান।

কিভাবে কণ্ঠকে সুস্থ এবং

সুন্দর রাখা যায়

পানি ভোকাল কর্ডকে আদ্র রাখে এবং আদ্র ভোকাল কর্ড শুষ্ক ভোকাল কর্ড থেকে বেশি ব্যবহার করা যায়। প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করবেন, কমপক্ষে

দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করতে হবে। খেলা শুরুর পূর্বে যেমন প্রস্তুতি দরকার তেমন বক্তৃতার পূর্বে ভোকাল কর্ডের একইভাবে হালকা ব্যায়াম করা উচিত। প্রস্তুতি ছাড়া কোন কাজে নামা উচিত নয়। প্র্যাক্টিস করলে ভোকাল কর্ডের কণ্ঠের মান ও উপস্থাপনা সুন্দর হয়। কথা বলা বা গান গাওয়ার

মাঝখানে দীর্গ শ্বাস- প্রশ্বাস নিলে কথা বলা, গান গাওয়াকে সুন্দর করে এবং ভোকাল কর্ডের অবসাদ হয়না। বক্তব্য বা উপস্থপনা বা বড় সমাবেশে বক্তৃতা দেয়ার সময় মাইক্রোফোন ব্যবহার করা উত্তম। দিনের একটা নির্দিষ্ট সময়ে কণ্ঠনালীকে বিশ্রাম দেয়া উচিত। যা কণ্ঠনালীর অবসাদ দূর করে এবং শক্তি ফিরিয়ে দেয়। নিজের কণ্ঠকে শুনুন এবং যদি কোন রকমের উপসর্গ থাকে বা পরিবর্তন লক্ষ্য করেন তাহলে যথাযথ যত্ন নিন। যদি দু'সপ্তাহের বেশী স্বর পরিবর্তন লক্ষ্যণীয় হয়, তাহলে নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। এমন কিছু করবেন না যা কণ্ঠনালীর ক্ষতি হয়।

ধূমপান, এলকোহল পান, অতিরিক্ত গরম পানীয় পান করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ধূমপান কণ্ঠনালীর ক্যান্সারের অন্যতম কারণ। ইহা ছাড়াও ধূমপান কণ্ঠনালীর প্রদাহ করে। জোরে জোরে বা পরিবর্তিত স্বরে কথা বলা উচিত নয়। জোরে কথা বললে বা কণ্ঠনালীর অপব্যবহার করলে কণ্ঠনালীতে সুক্ষ আঘাত হতে পারে। দূর হতে কাউকে ডাকতে হলে হাত তালি বা শীষ বা হাত নেড়ে অথবা লাইটের মাধ্যমে দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়। বড় খেলা উপভোগ করার সময় পছন্দের দলকে সাপোর্ট করার জন্য জোরে চিত্কার না করে পতাকা উড়ান বা ব্যানার লিখেন।

তাই মাথা উচুঁ করে ঘুমাবেন, টাইট কাপড় পরে ঘুমানো যাবে না, হালকা ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করে ঘুমাবেন। খাবারের সাথে সাথে ঘুমানো বা ক্যাফেইন যুক্ত খাবার গ্রহণ করা বাদ দিতে হবে। গাড়ীতে ভ্রমণ বা ট্রেনে যাতায়তের সময় কণ্ঠনালীকে বিশ্রাম দিন। দৈনন্দিন কর্মকান্ডে ভোকাল কর্ডে চাপ পরে এমন কাজ করা থেকে বিরত থাকবেন। মোবাইল ফোনে কথা বলতে সাবধানতা অবলম্বন করুন। চিন্তা করুন ফোন কলটি আপনার প্রয়োজনীয় কিনা।

Saturday, April 6, 2013

বিদ্রোহী (কবিতা)/কাজী নজরুল ইসলাম

বিদ্রোহী 

কাজী নজরুল ইসলাম

বল বীর-
বল উন্নত মম শির!
শির নেহারী' আমারি নতশির ওই শিখর হিমাদ্রীর!
বল বীর-
বল মহাবিশ্বের মহাকাশ ফাড়ি'
চন্দ্র সূর্য্য গ্রহ তারা ছাড়ি'
ভূলোক দ্যূলোক গোলোক ভেদিয়া
খোদার আসন ‘আরশ’ ছেদিয়া,
উঠিয়াছি চির-বিস্ময় আমি বিশ্ববিধাতৃর!
মম ললাটে রুদ্র ভগবান জ্বলে রাজ-রাজটীকা দীপ্ত জয়শ্রীর!
বল বীর-
আমি চির-উন্নত শির!
আমি চিরদুর্দম, দূর্বিনীত, নৃশংস,
মহাপ্রলয়ের আমি নটরাজ, আমি সাইক্লোন, আমি ধ্বংস!
আমি মহাভয়, আমি অভিশাপ পৃথ্বীর,
আমি দূর্বার,
আমি ভেঙে করি সব চুরমার!
আমি অনিয়ম উচ্ছৃঙ্খল,
আমি দ’লে যাই যত বন্ধন, যত নিয়ম কানুন শৃঙ্খল!
আমি মানি না কো কোন আইন,
আমি ভরা-তরী করি ভরা-ডুবি, আমি টর্পেডো, আমি ভীম ভাসমান মাইন!
আমি ধূর্জটী, আমি এলোকেশে ঝড় অকাল-বৈশাখীর
আমি বিদ্রোহী, আমি বিদ্রোহী-সুত বিশ্ব-বিধাতৃর!

Saturday, March 30, 2013

আমাদের প্রিয় আতিক স্যার

শিক্ষকের ক্যাম্পাস
এখনো বই-ই সবচেয়ে আপন বন্ধু
অনার্স থেকে মাস্টার্স সব স্তরের শিক্ষার্থীদের আপন মানুষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. এ এস এম আতিকুর রহমান। শত ব্যস্ততার মাঝেও শিক্ষার্থীদের সময় দিতে ভুলেন না তিনি। শিক্ষার্থীদের তিনি নিজের সন্তানের মতই দেখেন। শিক্ষার্থীরাও এ মানুষটিকে কখনো শিক্ষক, কখনো অভিভাবক আবার কখনো বন্ধু হিসেবে কাছে পায়। বিচিত্রগুণের অধিকারী, সদা হাস্যোজ্জ্বল, তারুণ্যে উদ্দীপ্ত, শিক্ষানুরাগী এই মানুষটির সঙ্গে কথা বলে লিখেছেন - মো. জাবেদ হোসেন।
আপনার শিক্ষাজীবন কিভাবে কেটেছিল?

Wednesday, March 27, 2013

নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ (প্রভাতসংগীত)
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪১)

আজি এ প্রভাতে        প্রভাতবিহগ
    কী গান গাইল রে!
অতিদূর দূর        আকাশ হইতে
    ভাসিয়া আইল রে!
না জানি কেমনে        পশিল হেথায়
    পথহারা তার একটি তান,
    আঁধার গুহায় ভ্রমিয়া ভ্রমিয়া
    গভীর গুহায় নামিয়া নামিয়া
    আকুল হইয়া কাঁদিয়া কাঁদিয়া
          ছুঁয়েছে আমার প্রাণ।
আজি এ প্রভাতে        সহসা কেন রে
    পথহারা রবিকর
আলয় না পেয়ে        পড়েছে আসিয়া
    আমার প্রাণের ’পর!
বহুদিন পরে        একটি কিরণ
    গুহায় দিয়েছে দেখা,
পড়েছে আমার        আঁধার সলিলে
    একটি কনকরেখা
    প্রাণের আবেগ রাখিতে নারি
    থর থর করি কাঁপিছে বারি,
    টলমল জল করে থল থল,
    কল কল করি ধরেছে তান।
আজি এ প্রভাতে        কী জানি কেন রে
    জাগিয়া উঠেছে প্রাণ।
    জাগিয়া দেখিনু চারিদিকে মোর
    পাষাণে রচিত কারাগার ঘোর,
বুকের উপরে        আঁধার বসিয়া
    করিছে নিজের ধ্যান।
না জানি কেন রে        এতদিন পরে
    জাগিয়া উঠেছে প্রাণ।

জাগিয়া দেখিনু আমি আঁধারে রয়েছি আঁধা,
আপনারি মাঝে আমি আপনি রয়েছি বাঁধা।
রয়েছি মগন হয়ে আপনারি কলস্বরে,
ফিরে আসে প্রতিধ্বনি নিজেরি শ্রবণ-’পরে।
দূর দূর দূর হতে ভেদিয়া আঁধার কারা
মাঝে মাঝে দেখা দেয় একটি সন্ধ্যাতারা।
তারি মুখ দেখে দেখে    আঁধার হাসিতে শেখে,
তারি মুখ চেয়ে চেয়ে করে নিশি অবসান।
শিহরি উঠে রে বারি,     দোলে রে দোলে রে প্রাণ,
প্রাণের মাঝারে ভাসি    দোলে রে দোলে রে হাসি,
দোলে রে প্রাণের ’পরে আশার স্বপন মম,
দোলে রে তারার ছায়া সুখের আভাস-সম।
মাঝে মাঝে একদিন আকাশেতে নাই আলো,
পড়িয়া মেঘের ছায়া কালো জল হয় কালো।
আঁধার সলিল-’পরে    ঝর ঝর বারি ঝরে
ঝর ঝর ঝর ঝর, দিবানিশি অবিরল-
বরষার দুখ-কথা, বরষার আঁখিজল।
শুয়ে শুয়ে আনমনে দিবানিশি তাই শুনি
একটি একটি ক’রে দিবানিশি তাই গুনি,
তারি সাথে মিলাইয়া কল কল গান গাই-
ঝর ঝর কল কল- দিন নাই, রাত নাই।
এমনি নিজেরে লয়ে রয়েছি নিজের কাছে,
আঁধার-সলিল-’পরে আঁধার জাগিয়া আছে।
এমনি নিজের কাছে খুলেছি নিজের প্রাণ,
এমনি পরের কাছে শুনেছি নিজের গান।

Tuesday, March 26, 2013

আমাদের স্বাধীনতা, আমাদের শক্তি





আমাদের স্বাধীনতা, আমাদের শক্তি

Monday, March 25, 2013

ভয়াল সেই ২৫ মার্চ ১৯৭১


সোমবার ভয়াল ২৫ মার্চ। ১৯৭১ সালের এইদিনে বাঙালি জাতির জীবনে এক বিভীষিকাময় রাত নেমে আসে। মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানানদার বাহিনী তাদের পূর্ব পরিকল্পিত অপারেশন সার্চলাইটের নীলনকশা অনুযায়ী আন্দোলনরত বাঙালিদের কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেয়ার ঘৃণ্য লক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

মার্কিন সাংবাদিক রবার্ট পেইন ২৫ মাচর্ রাত সর্ম্পকে লিখেছেন, “সে রাতে ৭০০০ মানুষকে হত্যা করা হয়, গ্রেফতার হলো আরো ৩০০০ লোক। ঢাকায় ঘটনার শুরু মাত্র হয়েছিল।সমস্ত পূর্ব পাকিস্তান জুড়ে সৈন্যরা বাড়িয়ে চললো মৃতের সংখ্যা। জ্বালাতে শুরু করলো ঘর-বাড়ি, দোকান-পাট লুট আর ধ্বংস তাদের নেশায় পরিণত হলো যেন। রাস্তায় রাস্তায় পড়ে থাকা মৃতদেহগুলো কাক- শেয়ালের খাবারে পরিনত হলো। সমস্ত বাংলাদেশ হয়ে উঠলো শকুন তাড়িত শ্মশান ভূমি।”

পাইকারি এই গণহত্যার স্বীকৃতি খোদ পাকিস্তান সরকার প্রকাশিত দলিলেও রয়েছে। পূর্ব পাকিস্তানের সংকট সম্পর্কে যে শ্বেতপত্র পাকিস্তানি সরকার মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্রকাশ করেছিল, তাতে বলা হয়: “১৯৭১ সালের পয়লা মার্চ থেকে ২৫ মার্চ রাত পর্যন্ত এক লাখেরও বেশী মানুষের জীবননাশ হয়েছিল।”

১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়লাভ করা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের কাছে পাকিস্তানি জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না করার ফলে সৃষ্ট রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনের প্রক্রিয়া চলাকালে পাকিস্তানি সেনারা কুখ্যাত ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নাম দিয়ে নিরীহ বাঙালী বেসামরিক লোকজনের ওপর গণহত্যা শুরু করে। তাদের এ অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগসহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রগতিশীল রাজনৈতিক নেতা-কর্মীসহ সকল সচেতন নাগরিককে নির্বিচারে হত্যা করা।

এদিন সকালে পাকিস্তান পিপলস্ পার্টি (পিপিপি) প্রধান জুলফিকার আলী ভুট্টো প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে ৪৫ মিনিটি ধরে বৈঠক করেন।

সকাল ৯টায় ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে নিয়মিত কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করে। বিকেলে পল্টন ময়দানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও মজদুর ফেডারেশনের উদ্যোগে জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ফরওয়ার্ড স্টুডেন্ট ব্লকের গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হয়।

রংপুর, সৈয়দপুর ও চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর গুলিতে ১১ জন নিহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া যায়। সেনাবাহিনীর এ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু ২৭ মার্চ সারা দেশে হরতাল আহ্বান করেন।

এদিন বঙ্গবন্ধু ব্যবসা-বাণিজ্য বিশেষ করে পাট ব্যবসা ও টেলিযোগাযোগ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। তিনি দেশের রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানে সরকারের অতিরিক্ত কালক্ষেপণে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

দুপুরের পর থেকেই ঢাকাসহ সরারদেশে থমথমে অবস্থা বিরাজ করতে থাকে। এদিন সকাল থেকেই সেনা কর্মকর্তাদের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মত। হেলিকপ্টার যোগে তারা দেশের বিভিন্ন সেনানিবাস পরিদর্শন করে বিকেলের মধ্যে ঢাকা সেনানিবাসে ফিরে আসে।

ঢাকার ইপিআর সদর দফতর পিলখানাতে অবস্থানরত ২২তম বালুচ রেজিমেন্টকে পিলখানার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিতে দেখা যায়।

এদিন মধ্যরাতে পিলখানা, রাজারবাগ, নীলক্ষেত আক্রমণ করে পাকিস্তানি সেনারা। হানাদার বাহিনী ট্যাঙ্ক ও মর্টারের মাধ্যমে নীলক্ষেতসহ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা দখল নেয়। সেনাবাহিনীর মেশিনগানের গুলিতে, ট্যাঙ্ক-মর্টারের গোলায় ও আগুনের লেলিহান শিখায় নগরীর রাত হয়ে উঠে বিভীষিকাময়।

পাকিস্তানি হায়েনাদের কাছ থেকে রক্ষা পায়নি রোকেয়া হলের ছাত্রীরাও। ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেব ও জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য, ড. মনিরুজ্জামানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৯ জন শিক্ষককে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। ঢাবির জগন্নাথ হলে চলে নৃশংসতম হত্যার সবচেয়ে বড় ঘটনাটি। এখানে হত্যাযজ্ঞ চলে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত।

বিশিষ্ট নজরুল গবেষক ও বাংলা একাডেমীর সাবেক পরিচালক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নীলক্ষেত আবাসনের ২৪নং বাড়িতে। ওই বাড়ির নিচে দুপায়ে গুলিবিদ্ধ দুই মা তাদের শিশু সন্তান নিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সিঁড়ি ভেসে যাচ্ছিল তাদের রক্তে। পাক হায়নাদাররা ভেবেছিল অন্য কোন দল হয়ত অপারেশন শেষ করে গেছে। তাই তারা আর ওই বাড়িতে ঢোকেনি। অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম তখন প্রাণে বেঁচে যান।

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম এই বর্ণনা দিয়ে জানান, তাদের বাড়ির নিচে আর একজন অবাঙালী অধ্যাপক থাকলেও তিনি ২৫ মার্চের আগে কাউকে না জানিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যান। শুধু তাই নয়- বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকার সব অবাঙালী পরিবার তাই করেছিলেন। এ থেকেই ধারণা করা যায়- ২৫ মার্চের এই হত্যাযজ্ঞের পূর্বাবাস অবাঙালিরা জানতো।

প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান অপারেশন সার্চ লাইট পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সকল পদক্ষেপ চূড়ান্ত করে গোপনে ঢাকা ত্যাগ করে করাচি চলে যান।

সেনা অভিযানের শুরুতেই হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের আগে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং যেকোনো মূল্যে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

বঙ্গবন্ধুর এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালী পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র লড়াই শেষে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর পূর্ণ বিজয় অর্জন করে। বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের। সূত্র: বাসস

Friday, March 22, 2013

আজ আবার সেই পথে দেখা হয়ে গেলো...

“আজ আবার সেই পথে দেখা হয়ে গেলো, 
কত সুর কত গান মনে পড়ে গেলো, 
বল, ভালো আছো তো, 
বল, ভালো আছো তো? 

ক’দিন আগে এমন হলে কতদিন আরো বেশি পেতাম, 
আরো আকাশ আরো বাতাস লিখে দিতো তোমারই নাম, 
শুধু আমি নয় ওরা সবাই ডেকে ডেকে বলে বলে যেতো- 
বল, ভালো আছো তো? 
বল, ভালো আছো তো? 

জানি তোমায় আপন ভাবার কোনো অধিকার নেই যে পাওয়ার, 
এও জানি দেখা হওয়ায় কত বড় ভাগ্য আমার, 
শুধু বল আজ আমায় ভুলে সুখি তুমি হয়েছ কত? 
বল, ভালো আছো তো? 
বল, ভালো আছো তো?”


Wednesday, March 20, 2013

রাষ্ট্রপতির মৃত্যুতে আজ সাধারণ ছুটি

রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের মৃত্যুতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোকের প্রথম দিনে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতির মৃত্যুর ঘটনায় মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বুধবার বিকেল ৪টা ৪৭ মিনিটে সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান মারা যান।

রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমানের মৃত্যু


রাষ্ট্রপতির মরদেহ বঙ্গভবনের পথে

রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমানের মরদেহ হযরত শাহজালাল রহ. আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছেছে। সেখানে কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে মরদেহ বঙ্গভবনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

বিমান বন্দরে রাষ্ট্রপতির পরিবারের সদস্যরা রয়েছেন। অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ অ্যাডভোকেট এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এর পর রাষ্ট্রপতি মরদেহ বঙ্গভবনের উদ্দেশে যাত্রা করেছে।
এর আগে রাষ্ট্রপতির মৃত্যু খবরের পরপরই গণভবনে জরুরি বৈঠক ডাকেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  বৈঠকে উপস্থিত হন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরা। পরে  ঘোষণা করা হয় রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধাঞ্জলি ও অন্যান্য কর্মসূচি। শুক্রবার দুপুর আড়াটায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে রাষ্ট্রপতির প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর দুপুর সাড়ে তিনটায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা। সেখান থেকে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের নিজ বাসভবন গুলশানের আইভি টাওয়ারে নেয়া হবে। বিকেল পাঁচটায় বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

 

একজন দেশপ্রেমিক রাজনীতিক চলে গেলেন। জাতি হারালো এক কৃতী সন্তানকে। জীবনভর যিনি দেশ ও জাতির কল্যাণের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছেন, তিনি চলে গেলেন না ফেরার দেশে।

রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমানের শেষ নিশ্বাস ত্যাগের সংবাদ শুনে শোকাচ্ছন্ন হয়েছে জাতি। সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশ সময় বুধবার বিকেল চারটা ৪৭ মিনিটে তিনি ইন্তেকাল ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।

শ্বাসকষ্টজনিত কারণে গত ৯ মার্চ রাতে রাষ্ট্রপতি ঢাকা সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক (সিএমএইচ) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।  পরে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ১০ মার্চ রাতে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়।

১১ মার্চ সকালে তাকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মোঃ জিল্লুর রহমান ১৯২৯ সালের ৯ মার্চ কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম মেহের আলী মিঞা ছিলেন প্রখ্যাত আইনজীবী ও তৎকালীন ময়মনসিংহ লোকাল বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং জেলা বোর্ডের সদস্য।
জিল্লুর রহমান ময়মনসিংহ জেলা শহরে তার শিক্ষাজীবন শুরু করেন। ১৯৪৫ সালে ভৈরব কেবি হাই স্কুল থেকে তিনি মেট্রিক, ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ থেকে আইএ এবং ১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে অনার্সসহ এমএ এবং এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন।

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক আমতলায় ১৯৫২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি এক ছাত্র সমাবেশে জনাব জিল্লুর রহমান সভাপতিত্ব করেন। সেখানেই ২১শে ফেব্রুয়ারি কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। ২০শে ফেব্রুয়ারিতে ফজলুল হক ও ঢাকা হলের পুকুর পাড়ে যে ১১ জন নেতার নেতৃত্বে ২১ ফেব্রুয়ারির ১৪৪ ধারা ভঙ্গের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, সেখানে জিল্লুর রহমান অন্যতম নেতা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। ১৯৫৩ সালে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফজলুল হক হল ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করার অপরাধে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হন এবং একই সাথে তার মাস্টার্স ডিগ্রি কেড়ে নেয়া হয়। কিন্তু প্রবল আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পুনরায় তার মাস্টার্স ডিগ্রি ফিরিয়ে দেয়।

তিনি ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন এবং তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৬ সালে তিনি কিশোরগঞ্জ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নির্বাচিত হন। ষাটের দশকে তিনি ঢাকা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

১৯৪৬ সালে ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজের ছাত্র থাকাকালে সিলেটে গণভোটের কাজ করার সময় তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সান্নিধ্যে আসেন। ১৯৬২ সালের সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন, ’৬৬-র ৬ দফা আন্দোলন, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানসহ প্রতিটি গণআন্দোলনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাশে থেকে তিনি অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭০ সালে তিনি পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য (এমএনএ) নির্বাচিত হন।

মো. জিল্লুর রহমান ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। তিনি মুজিবনগর সরকার পরিচালিত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পরিচালনা এবং জয় বাংলা পত্রিকার প্রকাশনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেই সময় দখলদার পাকিস্তান সরকার তার সংসদ সদস্য পদ বাতিল করে ২০ বছর কারাদণ্ড প্রদান ও তার সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে।

১৯৭২ সালে তিনি বাংলাদেশ গণপরিষদ সদস্য হিসেবে সংবিধান প্রণয়নে অংশ নেন। ১৯৭৩ ও ১৯৮৬ সালে তিনি জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে ৭ম জাতীয় সংসদে তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে ২০০১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। পাশাপাশি তিনি মহান জাতীয় সংসদের উপনেতা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালে ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি দেশে জরুরি আইন জারির পর ওই বছরের ১৬ জুলাই রাতে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা গ্রেফতার হলে তিনি অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে দল পরিচালনা করেন। দীর্ঘ ১১ মাস শেখ হাসিনার জেলজীবন এবং চিকিৎসার জন্য আরো প্রায় ছয় মাস দেশের বাইরে অবস্থানকালে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জিল্লুর রহমান দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখেন এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল অবদান রাখেন এবং ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অবিস্মরণীয় বিজয় লাভ করে। এই নির্বাচনে তিনি ষষ্ঠ বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পূর্ব পর্যন্ত তিনি নবম জাতীয় সংসদের সংসদ উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং জনাব জিল্লুর রহমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৮৪ সালে তিনি পুনরায় দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের প্রথম সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার পর প্রায় চার বছর মোঃ জিল্লুর রহমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের সদস্য হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৬ সালে সংসদ সদস্য থাকাকালে মোঃ জিল্লুর রহমান আবারো কারাবরণ করেন। ১৯৯২ এবং ১৯৯৭ সালে দলীয় কাউন্সিলে জিল্লুর রহমান পর পর দুইবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন।

জিল্লুর রহমানের সহধর্মিনী বিশিষ্ট নারী নেত্রী বেগম আইভী রহমান ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউর নারকীয় গ্রেনেড হামলায় মারাত্মক আহত হয়ে দু’দিন পর মৃত্যুবরণ করেন। বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভানেত্রী এবং জাতীয় মহিলা সংস্থার সাবেক চেয়ারপারসন আইভি রহমান গ্রেনেড হামলায় মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।
জিল্লুর রহমান ছিলেন এক পুত্র এবং দুই কন্যার জনক।



শুক্রবার বাদ জুমা জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে নামাজে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানকে  রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে।

বুধবার রাতে আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পদক মৃণাল কান্তি দাস স্বক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকভাবে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির মরদেহ গ্রহণ করা হবে। সেখান থেকে বেলা সাড়ে ১২টায় শোভাযাত্রাসহ মরদেহ নেয়া হবে বঙ্গভবনে। সেখানে দুপুর দেড়টার সময় মরদেহ সামনে রেখে রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার দেয়া হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে দুইটা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত বঙ্গভবনে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার সদস্য, সাবেক রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি ও বিচারপতি, সংসদ সদস্য, ডিন অব ডিপ্লোমেটিক কোর ও কূটনীতিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, মুক্তিযোদ্ধা, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন শ্রেণীপেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা শ্রদ্ধা জানাবেন। বিকেল তিনটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত আত্মীয়-স্বজন এবং সর্বসাধারণ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।

পরে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় রাষ্ট্রপতির মরদেহ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেয়া হবে। সেখানে জানাজা পর্যন্ত তার মরদেহ সংরক্ষণ করা হবে।

পরদিন শুক্রবার বাদ জুমা জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে রাষ্ট্রপতির জানাজা সম্পন্ন হবে। এরপর বেলা সাড়ে তিনটায় বনানী কবরস্থানে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে।


 
রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমানের মৃত্যুতে আগামী তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী (মিডিয়া) মাহবুবুল হক শাকিল নতুন বার্তা ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশ সময় বুধবার বিকেল চারটা ৪৭ মিনিটে রাষ্ট্রপতি ইন্তেকাল করেন।

প্রিয় আনিস ভাই

হারিয়ে যাওয়া তুলির আঁচড়
হারিয়ে যাওয়া কন্ঠস্বর
কেউ জানেনা তাহার খবর
সে যে এখন মাটির কবর

মানুষ জাগবে ফের/আনিসুল হক

মানুষ জাগবে ফের
আনিসুল হক

হে তরুণ হে যুবক
হে শ্রমিক হে কৃষক
মেনো না হতাশা
আবার আসবে দিন সূর্যিত আলোর
আবার আসবে দিন সমূহ উজ্জ্বল
মানুষ জাগবে ফের, জাগবে মানুষ।

নিদারুণ দুঃসময়ে আমাদের অধিবাস আজ
নির্দয় সূর্যের তাপে ফেটে যায় মাটি ও মনন
কামরুলী জানোয়ার দাঁতে ঘষে দাঁত
জয়নুলের কাকেরা করে কা-কা স্বদেশ ভাগাড়ে
কাক ও কুকুর ছাড়া আর কোন প্রাণী যেন নেই
হতাশা ও ধোঁয়া ছাড়া আর কোন দৃশ্যকল্প নেই
মানুষ নিরাশ আজ মানুষের আস্থা নেই অন্নদাত্রী মৃত্তিকার প্রতি।
চারিদিকে অন্ধকার ছিদ্রহীন শেষহীন অদ্ভুত আধাঁর
বিলাপ ও আর্তনাদ ছাড়া কোন উচ্চারণ নেই
আপোষ ও বেঈমানী ছাড়া আর কোন রাজনীতি নেই
উৎকোচ ও দুর্নীতি ছাড়া কোন কারবার নেই
সামরিক উর্দি ছাড়া আর কোন ভগবান নেই।
মানুষ ঘুমিয়ে সব বেঘোরে অঘোরে যেন অনন্ত শয়নে।
তথাপি হে সাথী
হে কৃষক ক্ষেতের মজুর
ছাত্র বন্ধু
শ্রমজীবী মৌলিক মানুষ
হে কামার হে কুমোর জেলে তাঁতী মাঝি-মাল্লা কুলি
একবার প্রাণ খুলে কান পেতে ধরো
একবার অন্তর্দৃষ্টি মেলে ধরে দ্যাখো
মানুষ কি জানে নাই তুফানের প্রচন্ড গতিতে
জীবন কি জাগে নাই মরণের আবরণ ভেঙে
জীবন কি জানে নাই বারুদের বিস্ফোরণ ঠেলে?
বাহান্নোয় একদিন জেগেছিল সব
আবার আসেনি কি মহাজাগরণ
সুমহান একাত্তরে?
বেহেশ্ত হতে নয়
মানুষের মাঝ থেকে

মানবিক কন্ঠ কি গর্জে ওঠে নাই
‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’

কলিমুদ্দিন শেখ মুই, অমপুরে আবাস হামার
বিশ্বাস কি অয় বাহে এই মুই যুদ্ধে গেছিলাম
মুইতো একেলা নও অনেকেই আছিল সাথোত
লাঙ্গল ফেলিয়ে বাহে এই হাতে অস্ত্র নিছিলাম।
সময় দিয়াছে ডাক হামার কি সাধ্য বসি থাকিবো ঘরোত
ঘরের বাহির হয়া ঝাঁপ দিই আকুল গাঙ্গেতে
চোখে মোর এক ছবি সামনের তীরেতে নতুন
জীবনতো আছে এক, সোনার খাঁচায় নয়,
ক্যামন স্বাধীন এক নতুন জীবন,
আকুল বানের তোড়ে ভাসি ভাসি যুদ্ধে চলি যাই
হামার দ্যাশের লাগি কলিম কিষাণ মুই যুদ্ধে চলি যাই
মরণের ভয়ডর ফেলি মুই যুদ্ধে চলি যাই
দু’মুঠা ভাতের লাগি যুদ্ধে চলি যাই।
দারুণ মিছিল আসে মানুষের মুক্তির মিছিল
আসে চাষা আসে চাষী অস্ত্র তুলে নেয়
আসে ছাত্র আসে যুবা অগ্নি জ্বেলে দেয়
আসে মাতা আসে বধু দাহ তেলে দেয়।

মানুষের উদ্বোধনে অবিশ্বাসী হয়ো না মানুষ
মানুষের উজ্জীবনে আস্থাহীন হয়ো না সারথী
আবার আসবে সেই সময়ের বাঁক
আবার আসবে সেই জাগরণী ধবল প্রহর
ইতিহাসের প্রগতি রুদ্ধ করে শক্তি আছে কার
মানুষের অগ্রযাত্রা বন্ধ করে শক্তি আছে কার।
মানুষ জাগবে ঠিক
পুনরায় জাগবে মানুষ।

Tuesday, March 19, 2013

Welcome to Bangaliana

http://www.bangaliana.in/

Welcome to Bangaliana


We are the Bengalis. So naturally, Bengali literature, bengali culture, bengali festival, bengali recipe attract us much.This site is for all Bengalis to promote our Bangaliana. Come forward and participate in our site. Its a platform to show your hidden talent. You can post Bengali Poem, all types of Bengali Song, Recitation, Dram, Jokes, Comics etc.
We have provided a Forum for Bengalies to discuss Bengali Culture, Custom and various issues related to Bengal and Bengalies. But no political discussion will be allowed.

একটি জিলাপির প্যাঁচ টাইপের গল্পের শুরু হল যেভাবে

একটি জিলাপির প্যাঁচ টাইপের গল্পের শুরু হল যেভাবে

অফিসের বস সেক্রেটারি স্বর্ণাকে ডেকে বলল,
আমি ১ সপ্তাহের জন্য অফিস ট্যুরে সিংগাপুর যাচ্ছি। ঠিক করেছি তোমাকেও সাথে নিয়ে যাব... !! Lets enjoy... :)
স্বর্ণা তার স্বামী রোমেলকে ফোনে বলল,
রোমেল আমি ১ সপ্তাহের জন্য অফিসের কাজে সিংগাপুর যাব, তুমি ভাল ভাবে থেকো!
রোমেল তার গার্লফ্রেন্ড রিয়াকে ফোন করে বলল,
আমার স্ত্রী দেশের বাহিরে যাচ্ছে, বাসা খালি... তুমি এক সপ্তাহের জন্য চলে এসো.... !! Lets enjoy... :)
রিয়া তার ছাত্র পার্থকে ফোন করে বলল,
আমি এক সপ্তাহ busy থাকব, তোমার এই সপ্তাহ ছুটি। তুমি Enjoy কর !! :)
পার্থ তার বাবাকে ফোন করে বলল,
বাবা ! কাল থেকে আমার প্রাইভেট সাতদিনের জন্য বন্ধ। তুমি এই সাতদিন কোথাও যেতে পারবেনা... তোমার সাথে অনেক মজা করব !!
Lets enjoy... :)
ছেলের ফোন পেয়ে বাবা অফিসের সেক্রেটারিকে বলল,
স্বর্ণা, আমার আরো একটি Important কাজ এসেছে, এই সপ্তাহে সিংগাপুর যাওয়া হবে না। Tour cancel... !!
স্বর্ণা তার স্বামী রোমেলকে ফোনে তখনইবলল,
আমি কোথাও যাচ্ছি না। Tour cancel হয়েছে। তোমার আর একা একা থাকতে হবে না।
Lets enjoy... :)
রোমেল তার গার্লফ্রেন্ড রিয়াকে সঙ্গে সঙ্গে ফোন করে বলল,
এই শুনো, আমার স্ত্রী কোথাও যাচ্ছে না তাই তোমার আর কষ্ট করে আসতে হবে না !!
তাই শুনে রিয়া তার ছাত্র পার্থকে ফোন করে বলল,
আমার যেই কাজ ছিল সেটা আর করতে হচ্ছে না, তাই তুমি কাল সকাল থেকে যথারীতি পড়তে আসবে !!
পার্থ তৎক্ষনাৎ তার বাবাকে ফোন করে বলল,
বাবা আমি এই সপ্তাহে আর ফ্রি হতে পারলাম না !
কারণ প্রাইভেট ম্যাডাম যেতে বলেছে। সামনে পরীক্ষা, অনেক পড়তে হবে !!
সাথে সাথে পার্থর বাবা স্বর্ণাকে ফোন করে বলল,
আমার যে অন্য Important কাজ ছিল সেটা তোমার জন্য cancel করেছি, চল কাল সিংগাপুর যাব !
আজই প্রস্তুত হয়ে নাও ! Lets enjoy... :)
আর এভাবেই তারা Enjoy এর মাধ্যমে বসবাস করিতে থাকিলো !!

Courtesy- Zaki Aref Ahamed

Monday, March 18, 2013

বন্ধ হওয়া বা ব্লক সাইট দেখুন বিকল্প উপায়ে

ব্লক করা ওয়েবসাইট দেখার জন্য যে ওয়েবসাইট ব্যবহার করা হয় তাকে প্রক্সি সাইট বলা হয়। এই প্রক্সি সাইট দিয়ে ব্লক করা বা নিষিদ্ধ সব সাইটে সহজেই প্রবেশ করা যায়। ইন্টারনেটে এরকম শত শত প্রক্সি সাইট রয়েছে, যা দিয়ে ডোমেইনের মাধ্যমে ব্লক করা সাইট দেখা যায় সহজেই। এই প্রক্সি সাইটগুলোর মধ্যে http://www.freeproxy.net হলো পৃথিবীর প্রথম ১০টি র্যাঙ্কড প্রক্সি ওয়েবসাইটের মধ্যে একটি। ইন্টারনেট ব্রাউজারে http://www.freeproxy.net লিখে এন্টার করার পর ঠিক মাঝামাঝি স্থানে একটি সার্চ করার জায়গা দেখা যাবে, সেখানে ব্লগ করা ওয়েবসাইটটির ঠিকানা লিখে সার্চ দিলেই সাইটটি দেখা যাবে। এ রকম আরও কিছু সাইটের ঠিকানা হলো :
http://www.zendproxy.com
http://www.pagewash.com
http://www.hidemyass.com
http://www.proxybrowsing.com
http://www.proxsafe.net
http://www.boomproxy.com
http://www.zfreez.com
http://www.proxy-server.at
http://www.newipnow.com
http://www.hidemehere.com
http://www.zend2.com
হটস্পটশিল্ডের সাহায্যে সাইট দেখা
এর জন্য http://www.hotspotshield.com থেকে ৬ মেগাবাইটের মতো এই সফটওয়্যারটি বিনামূল্যে ডাউনলোড করে ইনস্টল করতে হবে। সফটওয়্যারটি উইন্ডোজের সব সংস্করণ এবং ম্যাক অপারেটিং সিস্টেম সমর্থন করে। ইনস্টল করার পরে সিস্টেমট্রেতে লাল রঙের আইকন দেখা যাবে। এই আইকনে ক্লিক করে Connect/On-এ ক্লিক করলে ওয়েব ব্রাউজারে নতুন একটি পেজ খুলবে এবং হটস্পটশিল্ড সার্ভারের সঙ্গে কানেক্ট হবে এবং কিছুক্ষণ পরে Connected লেখা আসবে ও সিস্টেমট্রের আইকনটির রঙ সবুজ হবে। এখন যে কোনো ব্লক করা সাইট দেখা যাবে। পরে মূল আইপিতে ফিরে আসতে বা নতুন আইপি পেতে ডিসকানেক্ট করতে চাইলে ওই সবুজ আইকনে ক্লিক করে Disconnect/OFF-এ ক্লিক করলেই হবে।
প্রোএক্সপিএন দ্বারা আইপি হাইড করে সাইট দেখা
প্রোএক্সপিএনসফটওয়্যারটি ব্যবহারের জন্য http://www.proxpn.com থেকে ডাউনলোড করে ইনস্টল করুন। এখন প্রোএক্সপিএন সফটওয়্যারটিতে ইউজার (ইমেইল) পাসওয়ার্ড দিয়ে Connect বাটনে ক্লিক করুন তাহলে ভিপিএন চালু হবে এবং নতুন আইপি পাবে, যা সিস্টেমট্রেতে দেখা যাবে।
অ্যাকাউন্ট না থাকলে Create an account বাটনে ক্লিক করে রেজিস্ট্রেশন করে নিন। আর এই ইউজার পাসওয়ার্ড স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেভ হবে, ফলে পরে ইউজার পাসওয়ার্ড দিতে হবে না। এখন যে কোনো ব্লক করা সাইট দেখা যাবে।
ডিসকানেক্ট করতে চাইলে সিস্টেম ট্রেতে মাউসের ডান বাটনে ক্লিক করতে পারবেন। হটস্পটশিল্ড এবং প্রোএক্সপিএনের মতো আরও কিছু ভিপিএন
http://www.ultrasurf.us,
http://www.privitize.com
http://www.vpnbook.com
টর ব্রাউজারের সাহায্যে সাইট দেখা
টর ব্রাউজার বহনযোগ্য বলে ইনস্টল না করে বা ফ্লাশ ডিক্স থেকে সরাসরি চালানো যায়। টর প্রজেক্টের ভেতরে মজিলা ফায়ারফক্সের বহনযোগ্য সংস্করণ থাকায় কম্পিউটারে ইনস্টল থাকা ব্রাউজার ব্যবহারের প্রয়োজন পরে না।
এর জন্য প্রথমে ফ্রি এবং বহনযোগ্য টর ব্রাউজার http://www.torproject.org থেকে ডাউনলোড করুন।
এবার আনজিপ করে Start Tor Browser চালু করুন। তাহলে Vidalia Control Panel টর সার্ভারের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করবে। সংযোগ স্থাপন হলে বহনযোগ্য মজিলা ফায়ারফক্সটি (টর ব্রাউজার) সক্রিয় অবস্থায় চালু হবে। ফলে Congratulations. You are using Tor. মেসেজ-সম্বলিত টর প্রজেক্টের চেক পেজ আসবে ও একটি আইপি দেয়া হবে।
এখন এই বহনযোগ্য মজিলা ফায়ারফক্সের মাধ্যমে যে কোনো বন্ধ বা ব্লক থাকা ওয়েবসাইট ব্রাউজ করা যাবে।

Sunday, March 17, 2013

ঘুরে এলাম যশোর, পর্ব- ১

১০ মার্চ ২০১৩ অফিসিয়াল ট্যুর। সঙ্গে আছেন এফপিএবি’র মহাসচিব জনাব নাসির আহমেদ বাবুল এবং উপ-পরিচালক জনাব আব্বাছ উদ্দিন। এফপিএবি’র প্রেসিডেন্ট অধ্যাপিকা খালেদা খানম ও তাঁর পিএস মিস মুনাজ সুলতানাও যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ম্যাডামের আম্মা অসুস্থ থাকায় তিনি পরদিন প্লেনে যাবেন। আমরা দুপুরের পর রওয়ানা করে রাত ৮ঃ৩০টায় যশোর পৌঁছাই। সকাল বেলা প্রেসিডেন্ট যশোর পৌঁছার পর এসআরএইচআর এডুকেশন (দোয়েল) ক্যাম্পেইন প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে সিভিল সার্জন, ডিডি-ফ্যামিলি প্ল্যানিং সহ বিভিন্ন সরকারী কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি, ইমাম, কাজী, স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষক, কিশোর-কিশোরী এবং এফপিএবি’র সম্মানিত ভলান্টিয়ার ও শাখা কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। যৌন-প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার বিষয়ক এই প্রকল্পে সাথে একযোগে কাজ করার ব্যাপারে একমত হন। উপস্থিত সকলকে লাঞ্চের আমন্ত্রণ জানানোর মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষ হয়। তারপর শাখা নির্বাহী পরিষদের মিটিং হয়। এরপর পড়ন্ত বিকালে তারারমেলা’র আয়োজনে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। প্রেসিডেন্ট ম্যাডাম ঢাকার উদ্দেশ্যে এয়ারপোর্ট যাওয়ার কিছুক্ষ্ণ পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়। এভাবে শেষ হয় সারাদিনের অনুষ্ঠান। পরদিন ১৮ দলীয় জোটের হরতাল থাকায় আমি রাতেই ঢাকার উদ্দেশ্যে গাড়ীতে উঠি। ফেরিঘাটের বিশাল জ্যাম ঠেলে সকাল বেলা ঢাকায় পৌঁছাই। আসার পথে আমান নামের যশোর এমএম কলেজের এক ছাত্র আসে। সে পুলিশের এসআই’র ভাইভা দিতে ঢাকায় আসে।

পুলিশের সাম্প্রতিক ক্ষমতায়ন, গণতন্ত্র ও সহিংসতাঃ বাংলাদেশ

ঘটনাঃ একটি হরতাল বা সংঘর্ষের সময় সরকার পক্ষের একজন হরতাল ঠেকাতে বা বিরোধী পক্ষকে দমনে পুলিশকে সহযোগিতা করতে ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু ঘটনার ভয়াবহতার সময় কে কোন পক্ষের তা নির্ণয় করা অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে সরকার পক্ষের একজন গিয়ে সরকার বিরোধী এক পুলিশের হাতে পড়ে, তখন ঐ পুলিশ সুযোগ বুঝে সরকার পক্ষের কর্মীকে বিরোধী কর্মী বলে গুলি করে দেয়। প্রমাণের কোন সুযোগ নাই। আর প্রকৃত বিরোধী কর্মী হলে তো কথাই নেই। গুলি করছে পুলিশ/দুর্বৃত্ত। সুযোগটা প্রতিপক্ষও অনেক সময় কাজে লাগায়। যদি রাজনীতির জন্য লাশের প্রয়োজন হয়।
পুলিশের সাম্প্রতিক এমন ক্ষমতায়ন ভবিষ্যতে কারো জন্য সুখ বয়ে আনবে না। হত্যাকাণ্ড বন্ধ না হলে দেশ গৃহযুদ্ধের দিকে যাবে। অপরদিকে সরকার ও প্রশাসন জামায়াত-শিবিরের নৈরাজ্যকে যথাযথভাবে সামাল দিতে পারেনি। প্রথম দিকে জামায়াতকে মিছিল-সমাবেশ করতে না দেওয়া, পরে আবার জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের হামলার মুখে পুলিশের রহস্যজনক শিথিলতা প্রদর্শন-বিষয়গুলো বিজ্ঞতা ও কর্মকুশলতার পরিচয় বহন করে না। বর্তমানে সৃষ্টি হয়েছে এক ভয়াবহ সাংঘর্ষিক পরিস্থিতির। এই সাংঘর্ষিক পরিস্থিতিতে যেকোনো সাধারণ ও সচেতন নাগরিক উৎকণ্ঠিত না হয়ে পারে না।
আবেগ, অনুভূতি, দাবি-দাওয়া প্রত্যাশার একটি যোগ হচ্ছে আন্দোলন। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় আন্দোলন-সংগ্রামে মানুষের আবেগ-অনুভূতির প্রকাশ ঘটে। সরকার জনগণের আবেগের মূল্য দেবে, কিন্তু তাকে চলতে হয় সাংবিধানিক বিধিবিধান ও আইনের পথে। কোনো রাষ্ট্রের তারাই দক্ষ প্রশাসক ও নীতিনির্ধারক, যারা প্রচলিত আইনকানুন ও জনগণের চাওয়া-পাওয়ার সমন্বয় করে সিদ্ধান্ত নেন এবং দ্রুত সমাধান করেন। দেশের স্থিতিশীলতা, শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে কাঙ্ক্ষিত ভূমিকা পালন করেন। নেতাদের ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের কাছ থেকে সংযত বক্তব্য প্রত্যাশিত।
অব্যাহত সহিংসতায় দেশের গণতন্ত্র যখন বিপন্ন হওয়ার পথে, রাজনীতিক নেতাদের প্রতি আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে-এমন পরিস্থিতিতে প্রয়োজন সঠিক সিদ্ধান্ত ও যথাযথ পদক্ষেপের। সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একটি সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করে সংলাপের উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি থেকে দেশকে সকলের জন্য নিরাপদ করে তোলার সঠিক কাজটিই সাধারণ মানুষ দেখতে চায়।
আন্তর্জাতিক মহল থেকেও সহিংসতার ইস্যুতে বক্তব্য আসতে শুরু করেছে। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন, আমেরিকার পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র প্যাট্রিক ভেনট্রেল, নিউ ইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামসের বিবৃতির সারকথা হচ্ছে: উত্তপ্ত পরিস্থিতি শান্ত করার উদ্দেশে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তাণ্ডব বন্ধ করতে এবং আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার আহ্বান এবং একইসঙ্গে সহিংসতা চলাকালীন নিজেদের বা অন্যের জীবন রক্ষা করা ছাড়া প্রাণঘাতি পদক্ষেপ নেবার বিষয়ে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম সিএনএন ভারতীয় রাজনৈতিক আইএইচএস এক্সক্লুসিভ এনালাইসিস-এর উপপ্রধান রমেন বোসের মতামত তুলে ধরে বলেছে, স্থিতিশীলতার ঝুঁকিতে পড়তে পারে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক মহলের এ ধরনের মন্তব্যও আমাদের জন্য ইতিবাচক কোনো কিছুর ইঙ্গিত দেয় না নিশ্চয়ই!
নজীরবিহীন সহিংসতা অব্যাহত হলে তা শেষ পর্যন্ত জামায়াতের ‘গৃহযুদ্ধের হুমকি’ বাস্তবায়নের কাজটি বহুলাংশে এগিয়ে নেবে, দেশের পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়বে; এবং এর পরিণতিতে অগণতান্ত্রিক কোনো শক্তির আবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় জগদ্দল পাথরের মতো জেঁকে বসার পরিস্থিতি তৈরি করবে বলে অনেকের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে ক্ষমতার মেয়াদ দীর্ঘায়িত করতে সরকারের টার্গেট হোক অথবা যুদ্ধাপরাধের বিচার ঠেকাতে জামায়াত-শিবিরের মরণকামড়, যাই হোক না কেন; দেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা রক্ষা ও গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখার বিষয়টিকেই সকলে অগ্রাধিকার দেবেন- সচেতন নাগরিকের এটুকু প্রত্যাশা করা কি অত্যুক্তি হবে?

Friday, February 15, 2013

Culture of bangladesh

Culture

Reflecting the long history of the region, Bangladesh has a culture that encompasses elements both old and new.

Literature

The Bengali language boasts a rich literary heritage, which Bangladesh shares with the Indian state of West Bengal. The earliest literary text in Bengali is the 8th century Charyapada. Medieval Bengali literature was often either religious (for example, Chandidas), or adapted from other languages (for example, Alaol). Bengali literature reached its full expression in the 19th century, with its greatest icons being poets, the national poet Kazi Nazrul Islam, Rabindranath Tagore, Sarat Chandra, Jasim Uddin, Jibanananda Das, Shamsur Rahman, Al Mahmud, Sukanta Bhattacharya, Ishwar Chandra Vidyasagar, Michael Madhusudan Dutt and present day Humayun Ahmed, Muhammed Zafar Iqbal. Bangladesh also has a long tradition in folk literature, for example Maimansingha Gitika, Thakurmar Jhuli and stories related to Gopal Bhar, Birbal and Molla Nasiruddin.

Music and Arts

The musical tradition of Bangladesh is lyrics-based (Baniprodhan), with minimal instrumental accompaniment. Numerous musical traditions exist including Gombhira, Bhatiali and Bhawaiya, varying from one region to the next. Folk music is accompanied by the ektara, an instrument with only one string. Other instruments include the dotara, dhol, flute and tabla. Bangladesh also has an active heritage in North Indian classical music. Similarly, Bangladeshi dance forms draw from folk traditions, especially those of the tribal groups, as well as the broader Indian dance tradition.[128] Bangladesh produces about 80 films a year.[129] Mainstream Hindi films are also quite popular.[130]

Media

Around 200 daily newspapers are published in Bangladesh, along with more than 500 periodicals. However, regular readership is low at just under 15% of the population.[131] Bangladeshis listen to a variety of local and national radio programs like Bangladesh Betar. Several private FM radio stations (Radio Foorti, ABC Radio, Radio Today, Radio Amar etc.) are popular among urban youths. International Bengali-language broadcasts include BBC Bangla and Voice of America. The dominant television channel is the state-owned Bangladesh Television, but in the last few years, privately owned channels have developed considerably. Some popular privately owned TV channels are ATN Bangla, Channel i, NTV, Ekushey Television, Desh TV, RTV, Banglavision, Islamic TV, Mohona TV, ATN News, Somoy TV, Independent TV, Channel 9 Bangladesh etc.

Cuisine


Bengali spices are an important part of the local cuisine
The culinary tradition of Bangladesh has close relations to surrounding Bengali and North-East Indian cuisine as well as having its own unique traits. Rice and fish are traditional favourites. Biryani is a favourite dish of Bangladesh and this includes egg biryani, mutton biryani and beef biryani. Bangladeshis make distinctive sweetmeats from milk products, some common ones being Rôshogolla, Rasmalai, Rôshomalai, chômchôm and kalojam.

Dress

The shari (shaŗi) is by far the most widely worn dress by Bangladeshi women. A guild of weavers in Dhaka is renowned for producing saris from exquisite Jamdani muslin. The salwar kameez (shaloar kamiz) is also quite popular, especially among the younger females, and in urban areas some women wear western attire. Among men, western attire is more widely adopted. Men also wear the kurta-paejama combination, often on special occasions, and the lungi, a kind of long skirt for men.

A tribal girl of Bangladesh dancing

Festivals


Celebrations of the Pohela Boishakh (Bengali new year) in Dhaka.
The Muslim holidays of Eid ul-Fitr and Eid ul-Adha, the Bengali New Year, Independence Day, and Durga Puja by the significant Hindu community of Bangladesh, see the most widespread celebrations in the country. Other major Hindu festivals are Kali Puja, Saraswati Puja, and Krishna Janmashtami; alongside the Buddhist festival of Buddha Purnima, which marks the birth of Gautama Buddha, and Christmas, called Borodin ("Great day"), are all (except Saraswati and Kali Puja) national holidays.
Pohela Boishakh, the Bengali new year, is the major festival of Bengali culture and sees widespread festivities. Of the major holidays celebrated in Bangladesh, only Pohela Boishakh comes without any preexisting expectations (specific religious identity, culture of gift-giving, etc.). Unlike holidays like Eid ul-Fitr, where dressing up in lavish clothes has become a norm, or Christmas where exchanging gifts has become an integral part of the holiday, Pohela Boishakh is really about celebrating the simpler, rural roots of the Bengal. As a result, more people can participate in the festivities together without the burden of having to reveal one's class, religion, or financial capacity. Other cultural festivals include Nabonno, and Poush porbon (festival of Poush), both Bengali harvest festivals.
Alongside these are national days like the remembrance of 21 February 1952 Language Movement Day (International Mother Language Day), Independence Day and Victory Day. On Language Movement Day, people congregate at the Shaheed Minar in Dhaka to remember the national heroes of the Bengali Language Movement, and at the Jatiyo Smriti Soudho on Independence Day and Victory Day to remember the national heroes of the Bangladesh Liberation War. These occasions are observed with public ceremonies, parades, rallies by citizens, political speeches, fairs, concerts, and various other public and private events celebrating the history and traditions of Bangladesh. TV and radio stations broadcast special programs and patriotic songs. And many schools and colleges organise fairs, festivals, and concerts in which citizens from all levels of society can participate.

Architecture

Bangladesh has appealing architecture from historic treasures to contemporary landmarks.The architecture of Bangladesh has a long history and is rooted in Bangladesh's culture, religion and history.[132] It has evolved over centuries and assimilated influences from social, religious and exotic communities. The architecture of Bangladesh bears a remarkable impact on the lifestyle, tradition and cultural life of Bangladeshi people. Bangladesh has many architectural relics and monuments dating back thousands of years.http://en.wikipedia.org/wiki/Bangladesh#Culture

Friday, February 8, 2013

Politics of Bangladesh

Politics


The Jatiyo Sangshad Bhaban houses the Parliament of Bangladesh. Designed by American architect Louis Kahn, it is considered to be one of the landmarks of modern architecture and is one of the largest legislative complexes in the world.
Bangladesh is a unitary state and parliamentary democracy.[52] Direct elections in which all citizens, aged 18 or over, can vote are held every five years for the unicameral parliament known as the Jatiyo Sangshad. Currently it has 350 members (including 50 reserved seats for women) elected from single-member constituencies. The Prime Minister, as the head of government, forms the cabinet and runs the day-to-day affairs of state. While the Prime Minister is formally appointed by the President, he or she must be a member of parliament who commands the confidence of the majority.
The President is the head of state, albeit mainly ceremonially in his/her elected post;[53] however, the President's powers are substantially expanded during the tenure of a caretaker government, which is responsible for the conduct of elections and transfer of power. The officers of the caretaker government must be non-partisan and are given three months to complete their task. This transitional arrangement was pioneered by Bangladesh in its 1991 election and then institutionalised in 1996 through its 13th constitutional amendment.[54]
Major parties in Bangladesh include the Awami League, the Bangladesh Nationalist Party (BNP), the Bangladesh Jamaat-e-Islami (BJI), and the Jatiya Party of former military dictator Ershad. Sheikh Hasina's Awami League aligns with more leftist parties, whereas Khaleda Zia's BNP has politically been allied with Islamist parties like the BJI but practices secular politics. The former two have been bitter, dominant political rivals for over 15 years; each is related to one of the leaders of the independence movement. The Awami League-BNP rivalry has been punctuated by protests, violence and murder. Student politics are particularly strong in Bangladesh, a legacy from the liberation movement era, as almost all parties have highly active student wings, and student leaders have been elected to the Jatiyo Sangshad.
On 11 January 2007, following widespread political unrest, emergency law was declared and a caretaker government was appointed to administer the next general election. The 22 January 2007 election was postponed indefinitely as the Army-backed caretaker government of Fakhruddin Ahmed aimed to prepare a new voter list and crack down on corruption. They also assisted the interim government of Bangladesh in a drive against corruption, which resulted in Bangladesh's position in Transparency International's Corruption Perceptions Index changed from the very bottom, where they had been for 3 years in a row, to 147th in just 1 year.[55] A large alliance led by the Bangladesh Awami League won in a 29 December 2008 landslide victory, gaining 230 seats among 300 seats in the parliament.[56]

Subdivisions

Rangpur Division Rajshahi Division Khulna Division Barisal Division Chittagong Division Sylhet Division Dhaka DivisionA clickable map of Bangladesh exhibiting its divisions.
About this image
Bangladesh is divided into seven administrative divisions,[1][57] each named after their respective divisional headquarters: Barisal, Chittagong, Dhaka, Khulna, Rajshahi, Sylhet and Rangpur.
Divisions are subdivided into districts (zila). There are 64 districts in Bangladesh, each further subdivided into upazila (subdistricts) or thana. The area within each police station, except for those in metropolitan areas, is divided into several unions, with each union consisting of multiple villages. In the metropolitan areas, police stations are divided into wards, which are further divided into mahallas. There are no elected officials at the divisional or district levels, and the administration is composed only of government officials. Direct elections are held for each union (or ward), electing a chairperson and a number of members. In 1997, a parliamentary act was passed to reserve three seats (out of 12) in every union for female candidates.[58]
Dhaka is the capital and largest city of Bangladesh. The cities with a city corporation, having mayoral elections, include Dhaka South, Dhaka North, Chittagong, Khulna, Sylhet, Rajshahi, Barisal, Rangpur, Comilla and Gazipur. Other major cities, these and other municipalities electing a chairperson, include Mymensingh, Gopalganj, Jessore, Bogra, Dinajpur, Saidapur, Narayanganj and Rangamati. Both the municipal heads are elected for a span of five years.
Division Bangla 2011 population[59] Area (km2)[59] Population density
2011 (people/km2)[59]
Largest city
Barisal বরিশাল 8,325,666 13,297 626 Barisal (328,278)
Chittagong চট্টগ্রাম 28,423,019 33,771 841 Chittagong (2,592,439)
Dhaka ঢাকা 47,424,418 31,120 1,523 Dhaka (7,033,075)
Khulna খুলনা 15,687,759 22,272 704 Khulna (663,342)
Rajshahi রাজশাহী 18,484,858 18,197 1,015 Rajshahi (449,756)
Rangpur রংপুর 15,787,758 16,317 960 Rangpur (343,122)
Sylhet সিলেট 9,910,219 12,596 780 Sylhet (479,837)
Bangladesh
144,043,697 147,570 976

Principal Cities

Rank City Population (2011 Census)[59]
1 Dhaka 7,033,075
2 Chittagong 2,592,439
3 Khulna 1,408,350
4 Gazipur 689,411
5 Narayanganj 543,090
6 Sylhet 479,837
7 Rajshahi 449,756
8 Barisal 328,278
9 Comilla 326,386
10 Rangpur 294,265

Law

The legal system of Bangladesh is primarily in accordance with the English legal system, although since 1947 the legal scenario and the laws of Bangladesh have drifted far from the West owing to differences in socio-cultural values and religious guidelines. Laws are loosely based on English common law, but family laws such as marriage and inheritance are based on religious scriptures, and therefore differ between religious communities. The Constitution of Bangladesh was drafted in 1972 and has undergone 15 amendments.[54]
The highest judicial body is the Supreme Court, with justices appointed by the President. The judicial and law enforcement institutions are comparatively weak.[60] On 1 November 2007, Bangladesh successfully separated the Judiciary Branch from the Executive, but several black laws, including the Special Powers Act, still influence the rulers.[61] It is expected that this separation will make the judiciary stronger and more impartial.
http://en.wikipedia.org/wiki/Bangladesh#Politics

Thursday, January 31, 2013

History of Bangladesh

History

Antiquity


Stone Surya(dated 11 CE), Varendra Museum, Rajshahi.

The Lalbagh Fort in Dhaka. The city was an important administrative and economic center of the Mughal Empire.
Remnants of civilization in the greater Bengal region date back four thousand years,[10] when the region was settled by Indo-Aryan, Dravidian, Tibeto-Burman, and Austroasiatic peoples. The exact origin of the word "Bangla" or "Bengal" is not known, though it is believed to be derived from Bang/Vanga, the tribe that settled in the area around the year 1000 BCE.[11]
The early history of Bengal featured the rise of Vedic states, a succession of Buddhist empires and Hindu dynasties. During the first millennium BCE, the region was home to the janapadas such as Vanga and Pundravardhana. The Gangaridai state arose in the 7th century BCE, and flourished as a seafaring nation. The region was conquered by Emperor Ashoka in the 2nd century BCE, and was absorbed into the Mauryan Empire. Bengal was later part of the Gupta Empire and the Harsha Empire. Following its collapse, a dynamic Bengali named Shashanka founded an impressive short-lived kingdom. After a period of anarchy, the Bengali Buddhist Pala dynasty ruled the region for four hundred years, followed by a shorter reign of the Hindu Sena dynasty.
Islam was introduced to Bengal in the 9th century, by Arab Muslim traders and Sufi missionaries. Subsequent Muslim rule helped spread Islam throughout the region.[12] Bakhtiar Khilji, a Turkish general, defeated Lakshman Sen of the Sena dynasty and conquered large parts of Bengal in the year 1204. The Sultanate of Bengal was established by Shamsuddin Ilyas Shah in 1342, and ruled the region for the next few hundred years. The Sultans contributed to the development of Bengali culture through patronizing literature and art, and promoted trade and political relations with China and Persia. By the 16th century, the Mughal Empire controlled Bengal, and Dhaka became an important provincial center of administration. Under the Mughals, agrarian reforms and increased foreign trade brought a high level of prosperity to the region, giving rise to the reputation of "Golden Bengal".
Medieval European geographers located paradise at the mouth of the Ganges and although this was overhopeful, Bengal was probably the wealthiest part of the subcontinent until the 17th century. From 1517 onwards, Portuguese traders were traversing the sea-route to Bengal. Only in 1537, were they allowed to settle and open customs houses at Chittagong. In 1577, Mughal emperor Akbar permitted the Portuguese to build permanent settlements and churches in Bengal.[13] The influence of European traders grew until the British East India Company gained control of Bengal following the Battle of Plassey in 1757.[14] The bloody rebellion of 1857—known as the Sepoy Mutiny—resulted in transfer of authority to the crown with a British viceroy running the administration.[15] During colonial rule, famine racked South Asia many times, including the war-induced Great Bengal famine of 1943 that claimed 3 million lives.[16]
The Maratha Empire, a Hindu empire which overran the Mughals in the 18th century, also devastated the territories controlled by the Nawab of Bengal between 1742 and 1751. In a series of raids on Bengal and Bihar, then ruled by the Nawab, Maratha demolished much of the Bengali economy, which was unable to withstand the continuous onslaught of Maratha for long. Nawab Ali Vardi Khan made peace with Maratha by ceding the whole of Orissa and parts of Western Bengal to the empire. In addition, this a tax – the Chauth, amounting to a quarter of total revenue – was imposed on other parts of Bengal and Bihar. This tax amounted to twenty lakhs (of rupees?) for Bengal and 12 lakhs for Bihar per year.[17][18] After Maratha's defeat in Panipat by a coalition of Muslim forces, the empire returned under the Maratha general Madhoji Sindhia and raided Bengal again. The British Empire stopped payment of the Chauth, invading the territory of Bengal in 1760s. The raids continued until Maratha was finally defeated by the British over the course of three Anglo-Maratha Wars, lasting from 1777 to 1818.

20th century


Poets Rabindranath Tagore and Kazi Nazrul Islam. Bengali culture is renowned for its literature, poetry, music and art.
Between 1905 and 1911, an abortive attempt was made to divide the province of Bengal into two zones, with Dhaka being the capital of the eastern zone.[19] With the exit of the British Empire in 1947, Bengal was partitioned along religious lines, with the western part going to newly created India and the eastern part (Muslim majority) joining Pakistan as a province called East Bengal (later renamed East Pakistan), with its capital at Dhaka.[20] In 1950, land reform was accomplished in East Bengal with the abolishment of the feudal zamindari system.[21] Despite the economic and demographic weight of the east, however, Pakistan's government and military were largely dominated by the upper classes from the west. The Bengali Language Movement of 1952 was the first sign of friction between the two wings of Pakistan.[22] Dissatisfaction with the central government over economic and cultural issues continued to rise through the next decade, during which the Awami League emerged as the political voice of the Bengali-speaking population. It agitated for autonomy in the 1960s, and in 1966, its president, Sheikh Mujibur Rahman (Mujib), was jailed; he was released in 1969 after an unprecedented popular uprising. In 1970, a massive cyclone devastated the coast of East Pakistan, killing up to half a million people,[23] and the central government responded poorly. The Bengali population's anger was compounded when Sheikh Mujibur Rahman, whose Awami League won a majority in Parliament in the 1970 elections,[24] was blocked from taking office.

Independence leader Sheikh Mujibur Rahman.

Nobel laureate Muhammad Yunus.
After staging compromise talks with Mujib, President Yahya Khan and military officials launched Operation Searchlight,[25] a sustained military assault on East Pakistan and arrested him in the early hours of 26 March 1971. Yahya's methods were extremely bloody, and the violence of the war resulted in many civilian deaths.[26] Chief targets included intellectuals and Hindus, and about one million refugees fled to neighbouring India.[27] Estimates of those massacred throughout the war range from thirty thousand to 3,000,000.[28] Mujibur Rahman was ultimately released on 8 January 1972, due to direct US intervention.[29]
Awami League leaders set up a government-in-exile in Calcutta, India. The exile government formally took oath at Meherpur, in Kustia district of East Pakistan on 17 April 1971, with Tajuddin Ahmad as the first Prime Minister and Syed Nazrul Islam as the Acting President. The Bangladesh Liberation War lasted for nine months. The Bangladesh Forces formed within 11 sectors led by General M.A.G. Osmani consisting of Bengali Regular forces conducted a massive guerilla war against the Pakistan Forces with support from the Mukti Bahinis consisting of Kaderia Bahni, Hemayet Bahini, and others financed and equipped by Indian Armed Forces Maj. Gen. Sujat Singh Uban. The Indian Army, assisted by Bangladeshi forces, negotiated a cease-fire and surrounded the Dhaka Area. The Indian Army remained in Bangladesh until 19 March 1972.
After its independence, Bangladesh was governed by an Awami League government, with Mujib as the Prime Minister, without holding any elections. In the 1973 parliamentary elections, the Awami League gained an absolute majority. A nationwide famine occurred during 1973 and 1974,[16] and in early 1975, Mujib initiated a one-party socialist rule with his newly formed BAKSAL. On 15 August 1975, Mujib and most of his family members were assassinated by mid-level military officers.[30] Vice President Khandaker Mushtaq Ahmed was sworn in as President with most of Mujib's cabinet intact. Two Army uprisings on 3 November and the other on 7 November 1975 led to the reorganised structure of power. Emergency was declared to restore order and calm, Mushtaq resigned and the country was placed under temporary martial law, with three service chiefs serving as deputies to the new president Justice Abu Sayem, who also became the Chief Martial Law Administrator. Lieutenant General Ziaur Rahman, took over the presidency in 1977 as Justice Sayem resigned. President Ziaur Rahman reinstated multi-party politics, introduced free markets, and founded the Bangladesh Nationalist Party (BNP). Zia's rule ended when he was assassinated by elements of the military in 1981.[30]
Bangladesh's next major ruler was Lieutenant General Hussain Mohammad Ershad, who gained power in a coup on 24 March 1982, and ruled until 6 December 1990, when he was forced to resign after a revolt of all major political parties and the public, along with pressure from Western donors (which was a major shift in international policy after the fall of the Soviet Union). Since then, Bangladesh has reverted to a parliamentary democracy. Zia's widow, Khaleda Zia, led the Bangladesh Nationalist Party to parliamentary victory at the general election in 1991, and became the first female Prime Minister in Bangladeshi history. However, the Awami League, headed by Sheikh Hasina, one of Mujib's surviving daughters, won the next election in 1996. It lost again to the Bangladesh Nationalist Party in 2001.
On 11 January 2007, following widespread political unrest spearheaded by the Awami League, the Bangladesh civil and military establishment supported the establishment of a neutral caretaker government. The caretaker government was appointed to administer the next general election. The country had suffered from extensive corruption,[31] disorder and political violence. The caretaker government made it a priority to root out corruption from all levels of government. To this end, many notable politicians and officials, along with large numbers of lesser officials and party members, were arrested on corruption charges. The caretaker government held what it itself described as a largely free and fair election on 29 December 2008.[32] The Awami League's Sheikh Hasina won with a landslide in the elections and took the oath of Prime Minister on 6 January 2009.[33]
http://en.wikipedia.org/wiki/Bangladesh#History