ঘটনাঃ একটি হরতাল বা সংঘর্ষের সময় সরকার পক্ষের একজন হরতাল ঠেকাতে বা
বিরোধী পক্ষকে দমনে পুলিশকে সহযোগিতা করতে ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু ঘটনার
ভয়াবহতার সময় কে কোন পক্ষের তা নির্ণয় করা অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে। এমন
পরিস্থিতিতে সরকার পক্ষের একজন গিয়ে সরকার বিরোধী এক পুলিশের হাতে পড়ে, তখন
ঐ পুলিশ সুযোগ বুঝে সরকার পক্ষের কর্মীকে বিরোধী কর্মী বলে গুলি করে দেয়।
প্রমাণের কোন সুযোগ নাই। আর প্রকৃত বিরোধী কর্মী হলে তো কথাই নেই। গুলি
করছে পুলিশ/দুর্বৃত্ত। সুযোগটা প্রতিপক্ষও অনেক সময় কাজে লাগায়। যদি
রাজনীতির জন্য লাশের প্রয়োজন হয়।
পুলিশের সাম্প্রতিক এমন ক্ষমতায়ন ভবিষ্যতে কারো জন্য সুখ বয়ে আনবে না। হত্যাকাণ্ড বন্ধ না হলে দেশ গৃহযুদ্ধের দিকে যাবে। অপরদিকে সরকার ও প্রশাসন জামায়াত-শিবিরের নৈরাজ্যকে যথাযথভাবে সামাল দিতে পারেনি। প্রথম দিকে জামায়াতকে মিছিল-সমাবেশ করতে না দেওয়া, পরে আবার জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের হামলার মুখে পুলিশের রহস্যজনক শিথিলতা প্রদর্শন-বিষয়গুলো বিজ্ঞতা ও কর্মকুশলতার পরিচয় বহন করে না। বর্তমানে সৃষ্টি হয়েছে এক ভয়াবহ সাংঘর্ষিক পরিস্থিতির। এই সাংঘর্ষিক পরিস্থিতিতে যেকোনো সাধারণ ও সচেতন নাগরিক উৎকণ্ঠিত না হয়ে পারে না।
আবেগ, অনুভূতি, দাবি-দাওয়া প্রত্যাশার একটি যোগ হচ্ছে আন্দোলন। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় আন্দোলন-সংগ্রামে মানুষের আবেগ-অনুভূতির প্রকাশ ঘটে। সরকার জনগণের আবেগের মূল্য দেবে, কিন্তু তাকে চলতে হয় সাংবিধানিক বিধিবিধান ও আইনের পথে। কোনো রাষ্ট্রের তারাই দক্ষ প্রশাসক ও নীতিনির্ধারক, যারা প্রচলিত আইনকানুন ও জনগণের চাওয়া-পাওয়ার সমন্বয় করে সিদ্ধান্ত নেন এবং দ্রুত সমাধান করেন। দেশের স্থিতিশীলতা, শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে কাঙ্ক্ষিত ভূমিকা পালন করেন। নেতাদের ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের কাছ থেকে সংযত বক্তব্য প্রত্যাশিত।
অব্যাহত সহিংসতায় দেশের গণতন্ত্র যখন বিপন্ন হওয়ার পথে, রাজনীতিক নেতাদের প্রতি আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে-এমন পরিস্থিতিতে প্রয়োজন সঠিক সিদ্ধান্ত ও যথাযথ পদক্ষেপের। সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একটি সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করে সংলাপের উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি থেকে দেশকে সকলের জন্য নিরাপদ করে তোলার সঠিক কাজটিই সাধারণ মানুষ দেখতে চায়।
আন্তর্জাতিক মহল থেকেও সহিংসতার ইস্যুতে বক্তব্য আসতে শুরু করেছে। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন, আমেরিকার পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র প্যাট্রিক ভেনট্রেল, নিউ ইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামসের বিবৃতির সারকথা হচ্ছে: উত্তপ্ত পরিস্থিতি শান্ত করার উদ্দেশে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তাণ্ডব বন্ধ করতে এবং আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার আহ্বান এবং একইসঙ্গে সহিংসতা চলাকালীন নিজেদের বা অন্যের জীবন রক্ষা করা ছাড়া প্রাণঘাতি পদক্ষেপ নেবার বিষয়ে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম সিএনএন ভারতীয় রাজনৈতিক আইএইচএস এক্সক্লুসিভ এনালাইসিস-এর উপপ্রধান রমেন বোসের মতামত তুলে ধরে বলেছে, স্থিতিশীলতার ঝুঁকিতে পড়তে পারে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক মহলের এ ধরনের মন্তব্যও আমাদের জন্য ইতিবাচক কোনো কিছুর ইঙ্গিত দেয় না নিশ্চয়ই!
নজীরবিহীন সহিংসতা অব্যাহত হলে তা শেষ পর্যন্ত জামায়াতের ‘গৃহযুদ্ধের হুমকি’ বাস্তবায়নের কাজটি বহুলাংশে এগিয়ে নেবে, দেশের পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়বে; এবং এর পরিণতিতে অগণতান্ত্রিক কোনো শক্তির আবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় জগদ্দল পাথরের মতো জেঁকে বসার পরিস্থিতি তৈরি করবে বলে অনেকের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে ক্ষমতার মেয়াদ দীর্ঘায়িত করতে সরকারের টার্গেট হোক অথবা যুদ্ধাপরাধের বিচার ঠেকাতে জামায়াত-শিবিরের মরণকামড়, যাই হোক না কেন; দেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা রক্ষা ও গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখার বিষয়টিকেই সকলে অগ্রাধিকার দেবেন- সচেতন নাগরিকের এটুকু প্রত্যাশা করা কি অত্যুক্তি হবে?
পুলিশের সাম্প্রতিক এমন ক্ষমতায়ন ভবিষ্যতে কারো জন্য সুখ বয়ে আনবে না। হত্যাকাণ্ড বন্ধ না হলে দেশ গৃহযুদ্ধের দিকে যাবে। অপরদিকে সরকার ও প্রশাসন জামায়াত-শিবিরের নৈরাজ্যকে যথাযথভাবে সামাল দিতে পারেনি। প্রথম দিকে জামায়াতকে মিছিল-সমাবেশ করতে না দেওয়া, পরে আবার জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের হামলার মুখে পুলিশের রহস্যজনক শিথিলতা প্রদর্শন-বিষয়গুলো বিজ্ঞতা ও কর্মকুশলতার পরিচয় বহন করে না। বর্তমানে সৃষ্টি হয়েছে এক ভয়াবহ সাংঘর্ষিক পরিস্থিতির। এই সাংঘর্ষিক পরিস্থিতিতে যেকোনো সাধারণ ও সচেতন নাগরিক উৎকণ্ঠিত না হয়ে পারে না।
আবেগ, অনুভূতি, দাবি-দাওয়া প্রত্যাশার একটি যোগ হচ্ছে আন্দোলন। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় আন্দোলন-সংগ্রামে মানুষের আবেগ-অনুভূতির প্রকাশ ঘটে। সরকার জনগণের আবেগের মূল্য দেবে, কিন্তু তাকে চলতে হয় সাংবিধানিক বিধিবিধান ও আইনের পথে। কোনো রাষ্ট্রের তারাই দক্ষ প্রশাসক ও নীতিনির্ধারক, যারা প্রচলিত আইনকানুন ও জনগণের চাওয়া-পাওয়ার সমন্বয় করে সিদ্ধান্ত নেন এবং দ্রুত সমাধান করেন। দেশের স্থিতিশীলতা, শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে কাঙ্ক্ষিত ভূমিকা পালন করেন। নেতাদের ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের কাছ থেকে সংযত বক্তব্য প্রত্যাশিত।
অব্যাহত সহিংসতায় দেশের গণতন্ত্র যখন বিপন্ন হওয়ার পথে, রাজনীতিক নেতাদের প্রতি আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে-এমন পরিস্থিতিতে প্রয়োজন সঠিক সিদ্ধান্ত ও যথাযথ পদক্ষেপের। সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একটি সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করে সংলাপের উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি থেকে দেশকে সকলের জন্য নিরাপদ করে তোলার সঠিক কাজটিই সাধারণ মানুষ দেখতে চায়।
আন্তর্জাতিক মহল থেকেও সহিংসতার ইস্যুতে বক্তব্য আসতে শুরু করেছে। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন, আমেরিকার পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র প্যাট্রিক ভেনট্রেল, নিউ ইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামসের বিবৃতির সারকথা হচ্ছে: উত্তপ্ত পরিস্থিতি শান্ত করার উদ্দেশে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তাণ্ডব বন্ধ করতে এবং আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার আহ্বান এবং একইসঙ্গে সহিংসতা চলাকালীন নিজেদের বা অন্যের জীবন রক্ষা করা ছাড়া প্রাণঘাতি পদক্ষেপ নেবার বিষয়ে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম সিএনএন ভারতীয় রাজনৈতিক আইএইচএস এক্সক্লুসিভ এনালাইসিস-এর উপপ্রধান রমেন বোসের মতামত তুলে ধরে বলেছে, স্থিতিশীলতার ঝুঁকিতে পড়তে পারে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক মহলের এ ধরনের মন্তব্যও আমাদের জন্য ইতিবাচক কোনো কিছুর ইঙ্গিত দেয় না নিশ্চয়ই!
নজীরবিহীন সহিংসতা অব্যাহত হলে তা শেষ পর্যন্ত জামায়াতের ‘গৃহযুদ্ধের হুমকি’ বাস্তবায়নের কাজটি বহুলাংশে এগিয়ে নেবে, দেশের পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়বে; এবং এর পরিণতিতে অগণতান্ত্রিক কোনো শক্তির আবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় জগদ্দল পাথরের মতো জেঁকে বসার পরিস্থিতি তৈরি করবে বলে অনেকের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে ক্ষমতার মেয়াদ দীর্ঘায়িত করতে সরকারের টার্গেট হোক অথবা যুদ্ধাপরাধের বিচার ঠেকাতে জামায়াত-শিবিরের মরণকামড়, যাই হোক না কেন; দেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা রক্ষা ও গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখার বিষয়টিকেই সকলে অগ্রাধিকার দেবেন- সচেতন নাগরিকের এটুকু প্রত্যাশা করা কি অত্যুক্তি হবে?
No comments:
Post a Comment